রাজনীতি ছবির একটি দৃশ্যে প্রেমিকাকে নিজের ফোন নম্বর দেন ছবির নায়ক শাকিব খান। বাস্তবে সেই নম্বরটি ব্যবহার করেন হবিগঞ্জের ইজাজুল মিয়া। গত রোববার শাকিবের নামে মামলা করেছেন ইজাজুল। অভিযোগ, সিনেমায় তাঁর নম্বর ব্যবহার করায় ইজাজুলের ব্যক্তিজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাঁর সংসার ভাঙতে বসেছে। এর ক্ষতিপূরণ চান তিনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে খবরটি। এএফপি, বিবিসি, ডেইলি মেইল, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইউকে-এর সংবাদ সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমগুলোয় এখন শাকিব খানের নামে মামলার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
বুলবুল বিশ্বাস পরিচালিত রাজনীতি ছবিটি মুক্তি পায় এ বছরের ঈদুল ফিতরে। ছবির ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের মাথায় নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিজের নম্বর হিসেবে ইজাজুল মিয়ার নম্বরটি দেন শাকিব খান। সেই থেকেই শাকিব খানের নারী ভক্তদের কাছ থেকে অসংখ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ফোনকল পেতে থাকেন অটোরিকশার চালক ইজাজুল মিয়া।
গত রোববার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সম্পা জাহানের আদালতে বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের ইজাজুল মিয়া শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করার পর খবরটি আসে প্রথম আলোতে। মামলায় রাজনীতি সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদকেও অভিযুক্ত করা হয়।
বুধবার থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শাকিব খানের বিরুদ্ধে ইজাজুল মিয়ার করা এ মামলার খবরটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক কন্যাসন্তানের জনক ইজাজুলের সাংসারিক জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে সিনেমায় তাঁর ফোন নম্বর ব্যবহারের ফলে। প্রতিদিন শাকিবের নারীভক্তরা ইজাজুলকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন। ডেইলি মেইল গুরুত্বসহ তাদের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করেছে খবরটি। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের গণমাধ্যমেও এসেছে এ খবর।
হবিগঞ্জের বিচারিক হাকিম সম্পা জাহান মামলাটি গ্রহণ করে হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।