রাষ্ট্রপতি 'ফাগুন হাওয়ায়' মুগ্ধ

‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবির প্রদর্শনী শেষে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবির প্রদর্শনী শেষে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবিটি দেখে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছবিটি তিনি দেখেছেন। বঙ্গভবনে এই বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি, তাঁর পরিবারের সদস্য, বঙ্গভবনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবার, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও তাঁর স্ত্রী কণা রেজা, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক (বিপণন) ইবনে হাসান খান, মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) আমীরুল ইসলাম, ছবির পরিচালক তৌকীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত, ছবির অভিনয়শিল্পী সিয়াম, তিশা ও তাঁর স্বামী পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ফজলুর রহমান বাবু, রওনক হাসান, আফরোজা বানু, পরিচালক আবু শাহেদ ইমন, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন এবং চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে।

তৌকীর আহমেদ জানান, গতকাল বঙ্গভবনে সবাই আসন গ্রহণ করেন বেলা তিনটায়। এরপর রাষ্ট্রপতি আসেন। শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনার পর ছবিটির প্রদর্শনী শুরু হয় বিকেল চারটায়। ২ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের এই ছবির প্রদর্শনীর পর চা চক্রের আয়োজন করা হয়। এখানে রাষ্ট্রপতি এগিয়ে এসে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলোর গুরুত্বের কথা বলেন। এর মাধ্যমে তরুণদের উৎসাহ দেওয়া এবং শিল্পী-সংস্কৃতিকে জনগণের উন্নয়নে ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে প্রথম আলোকে তৌকীর আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির আন্তরিকতার কথা সব সময়ই শুনেছি। এবার তা কাছ থেকে দেখেছি। তাঁর আন্তরিকতায় আমরা সবাই মুগ্ধ। দেশের সর্বোচ্চ অভিভাবক যখন একটি ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনী দেখেন, তা চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক ঘটনা। তিনি চলচ্চিত্র কতটা পছন্দ করেন, তা থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে যদি ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স চালু করা যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চলচ্চিত্র চর্চার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। এ ছাড়া স্কুলপর্যায়ে যদি থিয়েটার চালু করা যায়, তাহলে শিশু-কিশোরেরা শিল্পের কথা জানবে, শিখবে।’

ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড। সম্প্রতি বঙ্গভবনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ রাষ্ট্রপতিকে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রপতিও সানন্দে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবিটি গতকাল দেশের ৫২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন তিশা, সিয়াম, আবুল হায়াত, আফরোজা বানু, ফারুক হোসেন, সাজু খাদেম, আজাদ সেতু, বলিউডের অভিনেতা যশপাল শর্মা প্রমুখ। টিটো রহমানের ‘বউ কথা কও’ গল্পের অনুপ্রেরণায় নির্মিত হয়েছে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ সিনেমা। ছবিতে এক মফস্বল শহরে ভাষা আন্দোলনের সময় মানুষের ভাবনা, আন্দোলন আর চেতনাকে রূপক অর্থে তুলে ধরেছেন তৌকীর আহমেদ।

আবু শাহেদ ইমন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াতের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বঙ্গভবনে আবু শাহেদ ইমন, বিপাশা হায়াত, তিশা ও তৌকীর আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বঙ্গভবনে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বিপণন) ইবনে হাসান খান, মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) আমীরুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বঙ্গভবনে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও তাঁর স্ত্রী কণা রেজা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বঙ্গভবনে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর আগে বক্তব্য রাখেন পরিচালক তৌকীর আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বঙ্গভবনে বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সিয়াম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া