শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন বাস্তব।
কথা বলা, গেম খেলা, গান শোনা, ভিডিও করা—এসবের পাশাপাশি স্মার্টফোন দিয়ে একটা আস্ত চলচ্চিত্রও বানিয়ে ফেলা যায়। হ্যাঁ, সম্প্রতি বাজারে আসা ভিভো এক্স৮০ ৫জি দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের মতো বড় পরিসরের কাজ করাও সম্ভব। বিশ্বখ্যাত লেন্স নির্মাতা কার্ল জাইসের টি*কোটিং প্রযুক্তির সঙ্গে ভিভোর দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসল এই স্মার্টফোন। ইতিমধ্যে ‘মৃধা বনাম মৃধা’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা রনি ভৌমিক এই স্মার্টফোন দিয়ে একটি শর্টফিল্ম তৈরি করে মুক্তি দিয়েছেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। ‘চক্রাকার’ নামের এই শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি, নোভা, ঈশানসহ আরও অনেকে।
নিখুঁত একজন নির্মাতা হিসেবে পরিচিত অমিতাভ রেজা। ভিভোর এই স্মার্টফোন সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘ভিভো এক্স৮০ ৫জির মাধ্যমে আপনি ইচ্ছা করলেই ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের শর্টফিল্ম, শর্টফিল্মস বানাতে পারেন এবং সারা পৃথিবীর যেকোনো ফেস্টিভ্যালে হাজির হতে পারবেন নিজের গল্প নিয়ে। শুধু একটা ডিভাইসের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে উপস্থাপন করবেন নিজের গল্প, এর চেয়ে এক্সাইটিং ঘটনা আর কী হতে পারে?’
রাশেদ জামান। বাংলাদেশের আধুনিক সিনেমাটোগ্রাফির একজন পথিকৃৎ। একই সঙ্গে ভিজ্যুয়াল সাইকিয়াট্রিস্ট ও ভিজ্যুয়াল ফিলোসফার। মুঠোফোনে সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে ওনার দর্শন এ রকম, ‘আগে একটা গল্প বলার জন্য, একটা আইডিয়াকে ইন্টারপ্রেট করার জন্য, ভিজ্যুয়ালি ট্রান্সলেট করার জন্য যত আয়োজন, সরঞ্জাম বা বাজেট দরকার হতো, সেটা এখন আর না থাকলেও হবে। আমাদের পকেটে যে ফোনটা (ভিভো এক্স৮০ ৫জি) আছে, সেটা দিয়েই চাইলে আমাদের ভাব প্রকাশ করতে পারি। বিখ্যাত লেন্স কোম্পানি ‘‘জাইস’’ ভিভো স্মার্টফোনের সঙ্গে কোলাবরেট করেছে। এই কোলাবরেশন আমরা যারা কম সরঞ্জামে, কম আয়োজনে গল্প বলতে চাই, একটা মুহূর্তকে ক্যাপচার করতে চাই ছবির মাধ্যমে, তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ভিভোর এক্স ৮০ ৫জি স্মার্টফোনের পেছনের দিকে আছে তিনটি ক্যামেরা। তিনটিই কার্ল জাইসের টি*কোটিং–সমৃদ্ধ লেন্স। এর প্রতিটি ক্যামেরাই মেইন ক্যামেরা। এর ভেতর ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরার সেন্সরের আকার ১/১.৪৯। নিঃসন্দেহে স্মার্টফোনের ক্যামেরা সেন্সর হিসেবে বেশ বড়। একই সঙ্গে এটা জাইস মাস্টার এনমর্ফিক লেন্সের আদলে তৈরি। ফলে স্মার্টফোন সিনেমাটোগ্রাফির ক্ষেত্রে এই ক্যামেরা দারুণ এগিয়ে। ভিভোর এক্স৮০ স্মার্টফোনের ক্যামেরার টি*কোটিং স্ট্যান্ডার্ড বেশ দক্ষতার সঙ্গে আলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
এর সেন্সর সনি আইএমএক্স৮৬৬ আরজিবিহোয়াইট। গতানুগতিক আরজিবি কালারের সঙ্গে যোগ হয়েছে হোয়াইট কালার। তাই মৌলিক রঙের নিখুঁত ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্য স্মার্টফোন থেকে এই ফোনে অনেক বেশি। এ ছাড়া এই ক্যামেরার ২১/৯ সিনেম্যাটিক রেশিও চলচ্চিত্রের জন্য বেশ উপযোগী।
ভিভোর এই স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি প্রসেসর। একটি ভিভোর নিজস্ব ভি১+ চিপ, যেটি ভিভোর আড়াই বছরের গবেষণার ফসল। সেই সঙ্গে মিডিয়াটেক ডাইমেনশন ৯০০০ প্রসেসর। গতি আর পারফরম্যান্সের বিচারে দুর্দান্ত। সেই সঙ্গে ৪ ন্যানোমিটার আকারের পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র সিপিইউ মিলবে ভিভোর এই মডেলে।
১২ জিবি এলপিডিডিআর৫ র্যামের সঙ্গে সঙ্গে ৪ গিগাবাইট ভার্চ্যুয়াল র্যাম এবং ১২৮ গিগাবাইট রমের একটি ভেরিয়েন্ট বাংলাদেশে এসেছে এবং দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে এক্স৮০ ৫জি। একটি আরবান ব্লু, অন্যটি কসমিক ব্ল্যাক। সঙ্গে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার; যেটি ১৮ মিনিটে ৭০ শতাংশ এবং ৩৫ মিনিটে ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম।
জনপ্রিয় টেক রিভিউয়ার সোহাগ এক্স৮০ স্মার্টফোন নিয়ে সম্প্রতি একটি রিভিউ প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, ‘ভিভো এক্স৮০ ৫জি কমপ্লিট ফ্ল্যাগশিপ ফোন। প্রথমত, যারা ক্যামেরা, বিশেষ করে ভিডিওকেন্দ্রিক ফোন চান, তাঁদের জন্য ভিভোর এক্স৮০ ৫জি ফোন রিকমেনডেড। এর বাইরেও এই ফোনের পারফরম্যান্স, ডিসপ্লে, ডিজাইন, ব্যাটারি ব্যাকআপের ক্ষেত্রে এই দামে (৭৬ হাজার ৯৯০ টাকায়) কোনো কমতি রাখা হয়নি।’
স্যাম জোনের স্যামও মনে করেন, এই দামে অন্যান্য স্মার্টফোনের থেকে এক্স৮০ সব দিক থেকে এগিয়ে। টেক টু দ্য পয়েন্টের ওয়াহিদুর রহমান এবং প্রযুক্তির ফারাবি আহমেদের মতে ‘ভিভোর এক্স৮০ ৫জি স্মার্টফোন’–এর ক্যামেরার জন্য ডেডিকেটেড ভি১+ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে যাঁরা ভিডিও ব্লগিং থেকে শুরু করে নাটক, এমনকি সিনেমা তৈরি করতে চান, তাঁদের জন্য এই দামে এটি সেরা পছন্দ।
ভিভোর এক্স৮০ ৫জি এমন একটি স্মার্টফোন, যেখানে সমকালীন নান্দনিক ডিজাইনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় প্রযুক্তির পরিণত সমন্বয় ঘটেছে। হাতের মুঠোয় চলে এসেছে চলচ্চিত্র। পেশাদার কিংবা শৌখিন সিনেমাটোগ্রাফির ভবিষ্যৎ শুরু হতে পারে এখান থেকেই।