বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি নারী কবি চন্দ্রাবতী। তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রাবতী কথা’ এই লকডাউনেও সুদূর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন থেকে বয়ে নিয়ে এসেছে সুখবর। এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে এই ছবি। আজই সুখবরের চিঠি উড়ে এসে জমা হয়েছে পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরীর মেইল বাক্সে।
অনুভূতি জানাতে প্রথম আলোকে এই পরিচালক বলেন, ‘গবেষণা, শুটিং পূর্ব প্রস্তুতি, শুটিং, পোস্ট প্রোডাকশন—সব মিলিয়ে পাঁচ বছরের মতো সময় লেগেছে ছবিটি সম্পন্ন করতে। ভালোই লাগছে। কেননা, এপিএসএ এই মহাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চলচ্চিত্র উৎসব। বিশ্বের ৭০টি দেশ থেকে এখানে ছবি জমা পড়েছে।’ বাংলাদেশের দর্শকেরা ছবিটি কবে দেখতে পাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর আসে, ‘২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমরা ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিই। ছবিটি এখনো সেখানেই আছে। সেন্সর বোর্ড থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। আমরা অপেক্ষা করছি। মহামারির কাল শেষ হোক। সবকিছু ঠিক থাকলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা দেশের মানুষকে ছবিটি দেখাতে চাই।’
২০১৫ সালের সরকারি অনুদান, ম্যানগ্রোভ পিকচারস ও বেঙ্গল ক্রিয়েন্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে এই চলচ্চিত্র। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এই উৎসবের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
‘চন্দ্রাবতীর কথা’ ছবিটির প্রিমিয়ার হয় ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে। ১৫৫০ থেকে ১৬০০ সালের সময়কার চন্দ্রাবতী জীবন্ত হয়েছেন ‘আলফা’খ্যাত দোয়েল ম্যাশের শরীরে। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মিতা রহমান, গাজী রাকায়েত, আরমান পারভেজ মুরাদ, কাজী নওশাবা আহমেদসহ অনেকে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চন্দ্রাবতীর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ ছাড়াও ময়মনসিংহ, নেত্রকোনার অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন ঋতুতে শুটিং হয়। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলেছে ভারতে। সংগীত পরিচালনা করেছেন কলকাতার সাত্যকি ব্যানার্জি।