প্রখ্যাত পরিচালক আমজাদ হোসেনকে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী জামালপুর শহরে সমাহিত করা হবে। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রয়াত এই নির্মাতার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, তাঁর বাবাকে জামালপুরে দাদা নুরউদ্দিন সরকারের কবরে সমাহিত করা হবে।
মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও লেখক আমজাদ হোসেনকে দাফন করার কথা শোনা গেলেও শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আমজাদ হোসেনের পরিবার।
পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দোদুল বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আব্বার মরদেহ কাল শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর নিয়ে যাওয়া হবে কারওয়ান বাজারের এটিএন বাংলা কার্যালয়ে। সেখান থেকে এফডিসিতে। এরপর তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই কার্যালয়ে জানাজা শেষে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল থেকে শুক্রবার রাতে আসছে আমজাদ হোসেনের মরদেহ। রাত আটটা নাগাদ ঢাকায় আমজাদ হোসেনের মরদেহ বহনকারী বিমানটি পৌঁছানোর কথা । বিমানবন্দর থেকে মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে মোহাম্মদপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদে। জানাজা শেষে শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হবে মোহাম্মদপুরের আদাবরে আমজাদ হোসেনের বাড়িতে। এলাকাবাসীর শ্রদ্ধা শেষে রেখে দেওয়া হবে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।
১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ হোসেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। এর আগে গেল ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আমজাদ হোসেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ২৮ নভেম্বর রাতে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককে নেওয়া হয়।