বনভোজনে গিয়েছিলেন ঢালিউডের সাবেক দুই নায়িকা ববিতা ও চম্পা। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের পাশাপাশি বড় বোন সুচন্দার পরিবারের সদস্যরা। ঢাকার পূর্বাচলের একটি অবকাশযাপন কেন্দ্রে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বাড়ির রান্নার সহযোগীরাও। কিন্তু সেখানে গিয়ে নিজেই রান্না করতে বসে গেলেন ববিতা।
বনভোজনে পরিবারের সবাই আবদার করে বসলেন, ববিতার রান্না খাবেন। তাই রান্নার দায়িত্ব নিজেই নিলেন বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী। গতকাল সোমবার দুপুরে ২৭ জনের জন্য ববিতা রান্না করলেন খিচুড়ি, মাছ, মাংস ও সবজি।
বড় বোন সুচন্দা এই মুহূর্তে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি থাকতে না পারলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গিয়েছিলেন বনভোজনে। ববিতা বলেন, ‘পূর্বাচলে বড় আপার মেয়ের একটা ফার্ম হাউস আছে, সবাই মিলে সেখানে একটা দিন কাটানোর সিদ্ধান্ত হলো। আমাদের তিন বোন পরিবারের সবাইকে নিয়ে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুরতে যাই। পুরো একটা দিন আনন্দ আর হইচই করে কাটাই। এবার এমন একটা সময়ে পরিকল্পনাটা হলো, যখন বড় আপা দেশে নেই। তাই তিনি থাকতে পারেননি। এদিকে বনভোজনে যাওয়ার আগের দিন শুনলাম আমাকেই নাকি রান্না করতে হবে। ভাবলাম, সবাইকে অনেক দিন রান্না করে খাওয়ানো হয় না। এই সুযোগে সেটা হবে।’
রান্নার জন্য খামারের মুরগি, মাছ, শিম, পেঁপে, ফুলকপি, টমেটো, কাঁচা মরিচ সবই ছিল ওই বাগানবাড়িতে। বিকেলে ফেরার সময় কাটা হয় সুচন্দার নাতির জন্মদিনের কেক। ববিতা বলেন, ‘আমার কিন্তু রান্না করে খাওয়াতে বেশ ভালো লাগে। সময়-সুযোগ পেলেই রান্নাঘরে ঢুকে যাই। আমার হাতে নারকেল দিয়ে দেশি মুরগি রান্না সবাই খুব পছন্দ করে। গরুভুনা, টমেটো ও লেবুপাতা দিয়ে রুই মাছ রান্নাও সবাই খুব আনন্দ নিয়ে খায়।’
চম্পা বলেন, ‘ববিতার হাতের রান্না আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। মন দিয়ে সে রান্নার কাজটা করে। বনভোজনে খিচুড়ি পেয়ে তো সবাই মজা করে খেয়েছে, কারণ আবহাওয়াও ছিল খিচুড়ি খাওয়ার সবচেয়ে উপযোগী। খাওয়ার পাশাপাশি পুরোটা দিন বেশ আনন্দে কেটেছে।’