বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মীয়মাণ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হবে এ বছরের ডিসেম্বরে। আগামী বছর ছবিটি দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে চান সংশ্লিষ্টরা। ভারতের মুম্বাই থেকে এসেছেন ছবিটির চিত্রনাট্যকার অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। তাঁরা দুজন ছুটে বেড়াচ্ছেন ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে। রোববার বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে এমনটাই জানালেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজহারুল হক।
অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি বলিউডে অনেক সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন। এই দুই চিত্রনাট্যকার ১৯ মে মুম্বাই থেকে ঢাকায় এসেছেন। ২ জুন পর্যন্ত তাঁরা থাকবেন।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হবে। নির্মাণ ব্যয়ের ৬০ ভাগ বাংলাদেশ ও ৪০ ভাগ ভারত বহন করবে। ছবিটি পরিচালনা করবেন ভারতের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।
ঢাকায় দুই চিত্রনাট্যকার কী করছেন, এমন প্রশ্নে আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং তাঁর জীবন ও সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত জায়গাগুলো পরিদর্শন করছেন এই দুই প্রতিনিধি। তাঁরা গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি, পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকা সেনানিবাস, কেন্দ্রীয় কারাগার, শহীদ মিনার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখছেন। সব ধরনের তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করছেন।’
এদিকে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়ে ৭ মে ভারতের দিল্লিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের একটি দলের উপস্থিতিতে সেই বৈঠকে বাজেট নিয়ে কথা হয়। প্রাথমিকভাবে পুরো সিনেমাটি নির্মাণের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় ৪০ কোটির বেশি। দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক–বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন। এখন লোকেশন দেখার কাজ চলছে। আমরা সেই কাজে সহযোগিতা করছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের অভিনয়শিল্পীদের ৯০ শতাংশ থাকবেন বাংলাদেশের। লোকেশন চূড়ান্ত ও চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হলেই অভিনয়শিল্পী সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যাবে।
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে এই ছবি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ছবিটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করতে গত এপ্রিলে ঢাকায় আসেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।