ফাদার রিগানের জীবনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র দ্য ফাদার: অ্যান আনটোল্ড স্টোরি। কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের চিত্রনাট্যে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন হেমন্ত সাদীক। ছবির অভিনয়শিল্পীদের খোঁজে শুরু হয়ে গেছে অডিশন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন ফাদার রিগান। শিক্ষা বিস্তার, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাংলা সাহিত্যের প্রসারে অবদান রেখেছেন খ্রিষ্টান এই ধর্মযাজক। তাঁর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রটির জন্য ইতালির বিভিন্ন শহরে অডিশনে অংশ নিয়েছেন ইতালি, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক অভিনয়শিল্পী। ইতিমধ্যে ফাদারের পরিবারের সঙ্গে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছেন পরিচালক ও ইতালিয়ান অংশের নির্বাহী প্রযোজক রোকো কোসেনতিনো। বাংলাদেশ ও ইতালির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য এ ছবির শুটিং দ্রুত শুরু করবেন বলে জানান ছবিটির বাংলাদেশি নির্বাহী প্রযোজক লিজা আসমা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও চিকিৎসা দিয়েছেন ফাদার রিগান। পরে মোংলা, বাগেরহাট, খুলনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি গড়ে তুলেছেন ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। দুস্থ নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য গড়েছেন সেলাই কেন্দ্র। বাংলা সাহিত্যের অর্ধশতাধিক বই বাংলা থেকে ইতালীয় ভাষায় অনুবাদ করেন। অনুবাদ করেছেন লালনের সাড়ে ৩ শ গান। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর ৯২ বছর বয়সে ভিসেনজায় প্রয়াত হন ফাদার রিগান। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।