হলিউড

প্রেম বেঁধেছি ফ্রেমে!

.

ফাগুন কড়া নাড়ছে দরজায়। ভালোবাসা দিবসও চলে এসেছে প্রায়। এখন তো সময় ভালোবাসার! আর ভালোবাসার এই সময়কে সামনে রেখে আজ আপনাদের জন্য থাকছে হলিউডের রোমান্টিক প্রেমের কিছু ছবির গল্প!

 ‘ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা’

রোমান্টিক ছবির কথা বললে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে প্রথমেই যে ছবিটির নাম আসে, সেটি ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৪২ সালে, পরিচালক মাইকেল কার্টিজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে এগিয়েছে ছবিটির কাহিনি। জার্মানদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় খুঁজছে অনেক শরণার্থী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হলে প্রথমেই যেতে হবে ক্যাসাব্ল্যাঙ্কায়, সেখানেই পাওয়া যেতে পারে সোনার হরিণ এক্সিট ভিসা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত রিক ব্লেইনও থাকে এই শহরে, শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যাফেটির মালিক সে। ঘটনাক্রমে ট্রানজিটের দুটো কাগজ পায় ব্লেইন। এই শহরেই সে আবিষ্কার করে সাবেক প্রেমিকা ইলসাকে, যে কিনা এখন চেকোস্লোভাকিয়ার বিদ্রোহী নেতা লাজলোর স্ত্রী। তাদের পেছনে ধাওয়া করছে জার্মান বাহিনী। ইলসা জানে, কেবল ব্লেইনই সাহায্য করতে পারবে তাদের। কিন্তু ব্লেইন কি সাহায্য করবে তাদের?

‘দ্য নোটবুক’

যাঁরা একটু পুরোনো দিনের উদ্দাম ভালোবাসার গল্প দেখতে চান, এই ছবি তাঁদের জন্য! নিকোলাস স্পার্কের একই নামের উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ধনী বাবার আদরের মেয়ে এলি, আর নোয়াহর তরুণ বয়সের প্রেম নিয়ে এগিয়েছে ছবিটির গল্প। শুধু তরুণ বয়স নয়, আসলে বৃদ্ধ বয়সেও এলির প্রতি নোয়াহর প্রেমে একটুও চিড় ধরেনি। কিন্তু এলি কী মনে রেখেছে নোয়াহকে? জানতে হলে দেখতে হবে ২০০৪ সালের রোমান্টিক ড্রামাটি!

‘লা লা ল্যান্ড’

গত বছর মুক্তি পেয়ে এরই মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে রোমান্টিক মিউজিক্যাল ড্রামা লা লা ল্যান্ড। স্বপ্নবাজ এক জুটির গল্প নিয়ে এই ছবির গল্প। লস অ্যাঞ্জেলস শহরের এক কোণে থাকে তরুণী ওয়েট্রেস মিয়া, যার স্বপ্ন বড় অভিনেত্রী হওয়া। আবার সেই একই শহরেই থাকে সেবাস্টিয়ান, সে হতে চায় একজন প্রতিষ্ঠিত জ্যাজ পিয়ানোবাদক। দুজনের দেখা হয়, প্রেম হয়। কিন্তু ভাগ্যের টানাপোড়েনে দুজন কি পারবে একসঙ্গে থাকতে? নাহ, সেটা আমি বলব না। সেটা জানতে দেখুন ছবিটি। এরই মধ্যে চলতি বছরের অস্কার মনোনয়নের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে এই ছবি।

‘পিএস আই লাভ ইউ’

মৃত্যুর পরও কি ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে থাকা যায়? নিশ্চয়ই ভুরু কুঁচকে বলবেন, না একদমই না! কিন্তু ভালোবাসার ছোঁয়া দিয়ে থাকা যায়, আরেক জগতে চলে গেলেও পাশে রাখা যায় প্রিয় মানুষকে। তেমনি একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে পিএস আই লাভ ইউ ছবিটি। স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর লিখে যাওয়া ছোট ছোট চিঠি নিয়ে নতুন জীবন শুরু করে সদ্যবিধবা হলি। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রের পরিচালনা করেছেন রিচার্ড লাগ্রাভেনিজ।

‘রোমান হলিডে’

রোমান হলিডে মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৩ সালে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন উইলিয়াম ওয়াইলার। রাজকুমারী অ্যান বেরিয়েছে ইউরোপ ভ্রমণে। কিন্তু নামেই শুধু ছুটি, আসলে সব সময় নিরাপত্তারক্ষীদের বর্মের আড়ালে থাকলে কি আর ছুটি কাটানো যায়? সুযোগ বুঝে এক রাতে হোটেল ছেড়ে পালাল রাজকুমারী। তখন তার সঙ্গে দেখা সাংবাদিক জো-এর, সে সেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে রোমে এসেছে একটি অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে। পরিচয়ের পর দুজনে প্রেমে পড়ল, কিন্তু মধুরেণ সমাপয়েৎ কি হবে তাদের এই প্রেমের?

‘সিটি লাইটস’

শেষে বলি অনেক পুরোনো একটি ছবির কথা। চার্লি চ্যাপলিনের অন্যতম সেরা ছবি সিটি লাইটস। পথের ধারে ফুল বেচে অন্ধ এক মেয়ে। তার থেকে ফুল কিনতে গিয়ে প্রেমে পড়ে যায় একজন হতদরিদ্র ভবঘুরে। তার ইচ্ছা, মেয়েটির চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া। সে জন্য টাকা জোগাড়ের প্রাণান্ত চেষ্টায় নামে সে। সফলও হয়। আবার মেয়েটির ধারণা ছিল, ছেলেটি হবে কোনো ধনীর আদরের দুলাল। কিন্তু দৃষ্টি ফিরে পেয়ে সে আবিষ্কার করে, তাঁর স্বপ্নের রাজপুত্র আসলে হতদরিদ্র একজন। তারপর কী ঘটল, জানতে দেখুন ১৯৩১ সালে মুক্তি পাওয়া নির্বাক ছবিটি।

* উইকিপিডিয়া, আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট, টাইমআউট, সিনেমাব্লেন্ড অবলম্বনে