ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা পুরস্কার জিতে নিল ইরানের সালেহ কাশেফি নির্মিত ‘এ পেয়ার অব হর্নস অন এ ফিমেল হোমো সেপিয়েন্স’ ছবিটি। এ ছাড়া ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ড জিতেছে সুইডিশ ফিল্ম ‘হ্যান্ডস্ফ্রি’। আজ শনিবার এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
স্মার্টফোনে নির্মিত সালেহ কাশেফির ১০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটিতে উঠে এসেছে ইরানি সমাজে নারীদের অবস্থান এবং বৈষম্য। তরুণ এই নির্মাতা এর আগেও অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রকার হিসেবে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তিনি জিতে নেন সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার।
এবারের উৎসবে বিশ্বের ৩৪টি দেশ থেকে ৯৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে, যার মধ্য থেকে বাছাই করা হয় সেরা ৩৮টি চলচ্চিত্র। সেখান থেকে ১০টি চলচ্চিত্র অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত হয়। প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত অন্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘সেন্টিনেলস, উইথ লাভ ফ্রম গড, নেচার, ফোকাস, মার্গেরিটা, মিসড কল, স্যালভেশন অব অক্সিজেন, দ্য থেসপিয়ান, দ্য স্টোরি অব এ মোটর বাইক’।
উৎসবে এ বছর অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ছিল ‘ওয়ান মিনিট’ বিভাগ। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই বিভাগে অংশ নেয়। ওয়ান মিনিট ফিল্ম বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় সুইডেনের লুকাস ডার্নেলিয়াস নির্মিত ‘হ্যান্ডস্ফ্রি’। ওয়ান মিনিট ক্যাটাগরিতে লুকাস জিতে নেন সেরা চলচ্চিত্রকারের অ্যাওয়ার্ড।
এই বিভাগে নির্বাচিত অন্য চলচ্চিত্রটি ছিল বাংলাদেশি তরুণ মুজাহিদুল ইসলাম জাহিন পরিচালিত ‘স্টোরি’। এ ছাড়াও ২৬টি চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় স্ক্রিনিং বিভাগে।
শনিবার উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার মতিন রহমান। এ ছাড়া বিচারকমণ্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান, সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান এবং চলচ্চিত্রবিষয়ক লেখক বিধান রিবেরু।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) স্থায়ী ক্যাম্পাসের সংগঠন সিনেমাস্কোপ আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছর উৎসবের জন্য চলচ্চিত্র জমা নেওয়া শুরু হবে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে।