চলচ্চিত্রের মানুষদের মধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার অন্য রকম আবেগের ব্যাপার। অনেকের মতে, চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করতে পারা বিরাট সার্থকতা। বাচসাস পুরস্কার অর্জন গর্বের ব্যাপার। দেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাচসাস তাই এই পুরস্কার শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে বরাবরই সচেতন। কিন্তু নানা কারণে গত পাঁচ বছর এই পুরস্কার দেওয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে সেই পাঁচ বছরের দেনা মেটাতে যাচ্ছে বাচসাস।
আগামী ৫ এপ্রিল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের প্রধান মিলনায়তনে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাচসাসের সভাপতি আবদুর রহমান। কিউট প্রেজেন্টস বাচসাসের সুবর্ণজয়ন্তীর আসরে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীরকে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট চার ব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে বিশেষ ইমেরিটার্স অ্যাওয়ার্ড। তাঁরা হলেন কোহিনূর আখতার সুচন্দা (অভিনয়), সৈয়দ হাসান ইমাম (অভিনয়), মির্জা আবদুল খালেক (প্রদর্শক) ও ফরিদুর রেজা সাগর (প্রযোজক)।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি থেকে বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বাচসাস জুড়ি বোর্ড ছবি দেখা সম্পন্ন করেছে। ৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় বাচসাসের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন হবে। এরপর থাকছে সেমিনার, প্রীতি বিতর্ক, পোস্টার প্রদর্শনী ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। সন্ধ্যায় নবনির্মিত আর্কাইভ ভবন মিলনায়তনে বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণের ৩৯তম আসর অনুষ্ঠিত হবে। থাকবে সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি থাকবেন।
বাচসাসের সভাপতি আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাচসাস পুরস্কার নিয়ে চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেন। কয়েক বছর ধরে তা অনিয়মিত ছিল। নানা কারণে আমরা অনুষ্ঠান করে পুরস্কারগুলো চলচ্চিত্রের মানুষদের হাতে তুলে দিতে পারিনি। এ নিয়ে কিছুটা মনঃকষ্ট কাজ করেছিল। তবে এটাকে দায় মেটানো বলতে চাই না।’