মাইনুল আহসান নোবেল
মাইনুল আহসান নোবেল

নোবেলের বিরুদ্ধে আবারও জিডি, চলছে মামলার প্রস্তুতি

সাত দিনের মাথায় তরুণ সংগীত তারকা মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে আবারও থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। ঢাকার হাতিরঝিল থানায় গতকাল রাত ১০টায় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু নোবেলের বিরুদ্ধে এই সাধারণ ডায়েরি করেন। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে আজ সোমবার দুপুরে তিনি জানালেন, শিগগিরই তিনি নোবেলের বিরুদ্ধে মানহানি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও কপিরাইট ইস্যুতে মামলা করবেন।

মাইনুল আহসান নোবেল

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেশের সংগীতাঙ্গনের গুণী শিল্পীদের নিয়ে মানহানিকর কথাবার্তা বলেন নোবেল। নিজের ফেসবুক পেজ নোবেল ম্যান থেকে দেওয়া এক পোস্টে ইথুন বাবুকে চোর বলে আখ্যায়িত করেন এই গায়ক। তিনি লেখেন, ‘ইথুন বাবু একটা চোর। অন্যের গান নিজের নামে চালায় দিসে।’ ফলে এবার নোবেলের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন ইথুন বাবু। ফেসবুক পোস্টে নোবেল তাঁর মানহানি করেছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেছেন বাবু। রাজধানীর হাতিরঝিলে দায়েরকৃত জিডি নম্বর-৮৯৯।

মাইনুল আহসান নোবেল

প্রথম আলোকে ইথুন বাবু বলেন, ‘সংগীতাঙ্গনে আমার দীর্ঘ জীবনের পথচলা। গুণীদের সঙ্গে যেমন কাজ করেছি, তেমনি সমসাময়িক ও তরুণদের সঙ্গেও কাজ করেছি। এই দীর্ঘ সময়ের সংগীতজীবনে যে কথা কেউ কোনো দিন বলতে পারেনি, নোবেল আমাকে সেই কথা বলেছে! আমি নাকি চোর! আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে শেষ করেছে। ছেলে এমবিএ করছে। পরিবারের মধ্যে, আমার কর্মক্ষেত্রে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের কাছে এভাবে সম্মানহানি করবে, তা তো মেনে নিতে পারি না। শ্রোতা–ভক্তসহ সারা দেশে সংগীত এবং সংগীতের বাইরে আমার অসংখ্য বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আছে।

মাইনুল আহসান নোবেল

নোবেলের পোস্টের কারণে সবার কাছে আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি, থানায় জিডি করেছি। আমি থানায় হাজির হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করেছি, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখার জন্য। নিশ্চয়ই কারও উসকানি আছে, নয়তো এমন সাহস নোবেল কোথায় পেল!’

ইথুন বাবু

ইথুন বাবু আরও বলেন, ‘ফেসবুক পেজ থেকে নোবেলের করা ওই পোস্টগুলো আমাদের সংগীতাঙ্গনের জন্য অশনিসংকেত। সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে এভাবে কথা বলার পাশাপাশি তিনি স্বনামধন্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দিচ্ছেন, সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। তাঁর কত বড় সাহস! দেশের চলমান আইনে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। ডিজিটাল নিরাপত্তা, সাইবার ক্রাইম ও মানহানি—এই তিন বিষয়ে আমি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করব। এই মুহূর্তে সব ধরনের তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করছি। হাতে পেলেই মামলা দিয়ে দেব।’

বিনোদন সাংবাদিক আল কাছিরের তৈরি প্রতিবেদন সময় নিউজে প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেন নোবেল।

নোবেল

হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ১৭ মে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেদিন বেলা সাড়ে তিনটায় সময় মিডিয়া লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, প্রশাসন ও পরিচালন বিভাগের সৈয়দ আসাদুজ্জামান ঢাকার কলাবাগান থানায় হাজির হয়ে নোবেলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। সেদিন সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পর নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তখন তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিসের জিডি হইছে? ও জিডি-মিডি দেহে নেব নে।’