মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৯ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন জ্যামাইকান এক সুন্দরী। নাম তাঁর টনি-অ্যান সিং। ১৪ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে তাঁর নাম ঘোষণা করেন মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া মোরলি। লন্ডনের এক্সেল অ্যারেনাতে অনুষ্ঠানে টনি-অ্যান সিংয়ের মাথায় নীল রঙা মুকুটটি পরিয়ে দেন গতবারের মিস ওয়ার্ল্ড মেক্সিকোর ভ্যানেসা পন্সে।
প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সের অফেহলি মেজিনো। আর দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন ভারতের রাজস্থানের মেয়ে সুমন রায়। শীর্ষ পাঁচ প্রতিযোগী প্রতিযোগিতার শেষ পর্ব; প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার পাইরেস মরগান এই প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ছিলেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনিই ফাইনালিস্টদের প্রশ্ন করেন।
‘মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৯’ এই প্রতিযোগিতার ৬৯তম সংস্করণ। ১২০ দেশের প্রতিযোগীরা এই মুকুটের জন্য লড়াই করেছেন। নভেম্বরের ২০ তারিখে লন্ডনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। নানা রকমের টাস্ক সম্পন্ন করার পর ১০ জনকে ফাইনালের জন্য মনোনীত করা হয়।
২৩ বছর বয়সী টনি-অ্যান সিং চতুর্থ জ্যামাইকান যিনি এই মুকুটের মালিক হয়েছেন। এর আগে ১৯৬৩, ১৯৭৬, ১৯৯৩ সালে জ্যামাইকা থেকে মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হয়েছিল। হিসেব মতে ২৬ বছর পর মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট জ্যামাইকানের মাথায় শোভা পেল।
ফ্লোরিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া এই মিস ওয়ার্ল্ড, মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী। স্বপ্ন তাঁর চিকিৎসক হওয়ার। জানিয়েছেন, অবসর তাঁর গান শুনেই কাটে। তবে রান্নাটাও টনি-অ্যান সিংয়ের বেশ পছন্দের। সময় পেলেই এটা-সেটা রেঁধে ফেলেন তিনি।
এবারের মিস ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন রাফিয়া নানজিবা তোরসা। তবে জেসিয়া আর ঐশীর মতো সফল হতে পারেননি তোরসা। জেসিয়া আর ঐশী যথাক্রমে সেরা ৪০ ও সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিলেও সেরা ৪০-এ ঠাঁই হয়নি তোরসার।