ছিলেন মঞ্চের একজন নাট্যকর্মী, যুক্ত হয়েছেন টিভি নাটকের সঙ্গে। সুযোগ পেয়েছেন বিজ্ঞাপনচিত্রেও। পরিচালকদের কাছে শাহেদ আলী এরই মধ্যে নিজেকে একজন নির্ভরযোগ্য আর দক্ষ অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করেছেন। শাহেদ আলী জানিয়েছেন, নতুন বছরে তাঁর অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাবে।
শাহেদ অভিনীত এ ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’, গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ আর আ কা রেজা গালিবের ‘কালের পুতুল’। প্রথমটিতে তিনি গ্রামের দিনমজুর, দ্বিতীয়টিতে সাংবাদিক আর তৃতীয়টিতে শাহেদ অভিনয় করেছেন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর চরিত্রে।
ছবি প্রসঙ্গে শাহেদ আলী বলেন, ‘এখন শুধু “কালের পুতুল” ছবির কিছু কাজ বাকি আছে। ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বান্দরবানে ছবির শেষ অংশের কাজ হবে। এ ছবিতে আমার চরিত্রটি অন্য সবার থেকে আলাদা। আর আমিও সেভাবেই কাজ করেছি।’
এখন পুরোপুরি চলচ্চিত্র নিয়েই ব্যস্ত শাহেদ আলী। কথা প্রসঙ্গে জানালেন, সামনে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ আর মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নূরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ছবিতে কাজ করবেন। এই দুটি ছবির প্রথমটিতে তাঁর চরিত্র একজন আইনজীবীর আর পরেরটিতে একজন রেলওয়ে কর্মচারীর।
শাহেদ আলী বললেন, ‘চলচ্চিত্রে কাজ করব, এমন স্বপ্ন দেখেছি সেই ছোটবেলা থেকে। একদিন বড় অভিনেতা হব, এমন স্বপ্ন এখনো দেখছি। বড়পর্দায় আমাকে যত ছোট করেই দেখানো হোক না কেন, তা কিন্তু দেখতে আমার অবয়ব থেকে বড়। মানে আমার থেকে বড় আমার ইমেজ। চলচ্চিত্রই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।’
পরিবারের কথা উঠতেই শান্তির হাসি হাসলেন শাহেদ আলী। তাঁর স্ত্রী দীপা খন্দকার অভিনয় করছেন টিভি নাটকে। বললেন, ‘দীপা আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। ওর সহযোগিতা না পেলে হয়তো চলচ্চিত্রে সেভাবে কাজ করতে পারতাম না।’
শাহেদ আলী সর্বশেষ কাজ করেছেন গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ আর অমিত আশরাফের ‘উধাও’ ছবিতে। তবে চলচ্চিত্রের ফাঁকে টিভিতেও কাজ করছেন।