দুই বছর গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম: আদিত্য

>
কলঙ্ক ছবিতে আদিত্য রয় কাপুর ও সোনাক্ষী সিনহা
কলঙ্ক ছবিতে আদিত্য রয় কাপুর ও সোনাক্ষী সিনহা
টানা দুই বছর অন্তরালে থাকার পর পর্দায় ফিরলেন আদিত্য রয় কাপুর। কলঙ্ক ছবিতে দেখা গেল তাঁকে। অভিনেতা হলেও মিউজিক তাঁর বিশেষ পছন্দ। এই রকম নানান কথা উঠে এল এই আড্ডায়। মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে বলিউড অভিনেতা আদিত্য রয় কাপুরের মুখোমুখি আমাদের মুম্বাই প্রতিনিধি দেবারতি ভট্টাচার্য। আরও অনেক জানা-অজানা কথা উঠে এল এই আড্ডায়।

‘ওকে জানু’ ছবির পর দুই বছরের লম্বা বিরতি কেন?

আমি শুধু পর্দায় আসার জন্য ছবি করি না। এই লম্বা সময়ে আমার কাছে আমার পছন্দমতো কোনো ছবির প্রস্তাব আসেনি। তবে আমি এখন অনুভব করেছি যে অভিনয় করলেই আমি খুশি থাকি। আর আমি এমন মানুষদের সঙ্গে অভিনয় করতে চাই, যাদের সঙ্গে আমি খুশি থাকি।

এই দীর্ঘ বিরতিতে কী করেছেন?

অভিনয়ের মতো আমি মিউজিকেও সমান আগ্রহী। এই দুই বছর গানবাজনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আর আমি চুপচাপ ঘরে বসে থাকতে পারি না। কিছু না কিছু করতেই থাকি। এ ছাড়া আমি খুব বেড়াতে ভালোবাসি। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ঘুরে এলাম।

‘কলঙ্ক’ ছবিতে আপনার জন্য সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?

আদিত্য রয় কাপুর

ছবিটা চল্লিশের দশকের। আর এই সময়টা আমাদের দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার অভিনীত চরিত্রটি সেই সময়কার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই আমাকে সেই সময়ের রাজনীতি বোঝার জন্য অনেক বই পড়তে হয়েছে। চল্লিশের দশকের শরীরী ভাষা, কথা বলার ভঙ্গি—এই সবকিছু রপ্ত করার জন্য সেই সময়ের কিছু সিনেমা দেখেছি। দিলীপ কুমারের আন্দাজ, মধুমতী সিনেমাগুলো দেখেছি। তবে একটা বিষয় বুঝেছি যে আমি হাজার চেষ্টা করেও তাঁর মতো পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারব না। দিলীপ সাহেব অনেক উচ্চমানের। তবে তাঁর কাজ দেখে আমি অনেকটাই উপকৃত হয়েছি।

পুরোনো জিনিসের প্রতি কি আপনার আসক্তি আছে?
আমাদের সবাই কমবেশি অতীতের দিকে ফিরে দেখতে ভালোবাসি। আমরা ভাবি, আমাদের অতীত অনেক বেশি মধুর ছিল। আমিও তা–ই ছিলাম। কিন্তু আমি এখন এসব ভাবা বন্ধ করে দিয়েছি। ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নিশ্চয়। কিন্তু আমি মনে করি, পরিবর্তনও জরুরি।

স্মৃতি ছাড়া পুরোনো কোনো জিনিসকে কি আজও আঁকড়ে ধরে রেখেছেন?
পুরোনো টি–শার্ট রাখার অভ্যাস আমার আছে। পুরোনো জিনিসের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি এরই কালেকশন আছে। আর আমি আমার পুরোনো টি–শার্টের মধ্যে খুব আরাম অনুভব করি। প্রায় ১৫ বছরের পুরোনো টি–শার্ট আমার কাছে আছে।

‘কলঙ্ক’ শব্দটার সঙ্গে কখনো মুখোমুখি হয়েছেন?

হা হা হা। স্কুলজীবনের কোনো শিক্ষককে যদি আমার কথা জিজ্ঞেস করেন তো ওরা আমাকেই ‘কলঙ্ক’ বলে অভিহিত করবেন। কারণ আমি ছাত্র হিসেবে মোটেই ভালো ছিলাম না। পড়াশোনায় আমার বিন্দুমাত্র কৌতূহল ছিল না। পড়াশোনা ছাড়া বাকি সব বিষয়ে প্রবল আগ্রহ ছিল।

আলিয়ার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?

আলিয়া খুবই আবেগপ্রবণ। আর সে খুব তৈরি হয়ে এসেছে। আলিয়া আমার, বরুণের সংলাপও মনে রাখত। সে ভীষণই প্রাণবন্ত। আলিয়া সহ–অভিনেতাদের খুবই সাপোর্ট করে। আবার আমরা সড়ক টু-তে কাজ করব। এরপর আমরা আরও সহজভাবে কাজ করতে পারব।

‘সড়ক টু’র শুটিং শুরু হচ্ছে কবে?

এ বছরের শেষের দিকে সড়ক টু ছবির শুটিং শুরু হবে। এই ছবিকে ঘিরে আমি খুব উত্তেজিত। কারণ ভাট সাহেব (মহেশ ভাট) দীর্ঘদিন পর পরিচালনায় আসছেন। দুই মেয়ে তাঁর পরিচালনায় কাজ করবেন। সঞ্জয় (দত্ত) স্যার এই ছবিতে কাজ করছেন। এই ছবির সঙ্গে বিশেষ বিশেষ মানুষ জড়িত। তাই আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।

বলিউডে এখন বিয়ের মৌসুম চলছে। আপনি কবে বিয়ে করতে চলেছেন?

এখন আমি কাজের দিকেই মনঃসংযোগ করতে চাই। অনেক দিন পর কাজে ফিরেছি। সঠিক মানুষ যদি আমার জীবনে আসে, তখন দেখা যাবে। ভালোবাসা তো পরিকল্পনা করে হয় না।