তিন বিশ্বসুন্দরী এক হলেন যেখানে

ভেনেসা পঁসে, মানুষি ছিল্লার ও স্তেফানি দেল ভ্যালি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ভেনেসা পঁসে, মানুষি ছিল্লার ও স্তেফানি দেল ভ্যালি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

করোনায় লকডাউন প্রায় দেশই। ধীরে ধীরে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। আর দিন যত যাচ্ছে, গবেষণায় এই ভাইরাস বহুরূপী হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ভাইরাস নিয়ে জানা ও এর সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা এই সময়ের সবচেয়ে বড় ওষুধ। আর মানুষকে সচেতন করতে এবার এক কাতারে দাঁড়িয়েছেন তিন বিশ্বসুন্দরী।

২০১৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড ভারতের মানুষি ছিল্লার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০১৮ সালের মিস ওয়ার্ল্ড মেক্সিকোর ভেনেসা পঁসে, ২০১৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড ভারতের মানুষি ছিল্লার এবং ২০১৬ সালের মিস ওয়ার্ল্ড পুয়ের্তো রিকোর স্তেফানি দেল ভ্যালি একসঙ্গে কাজ করবেন। তাঁরা একটি প্ল্যাটফর্মে এক হয়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও এর থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে সচেতনতা প্রচার করবেন।

মানুষি বলেন, ‘এই সময়ে এই ভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচানোর উপায় হলো ভাইরাসটি সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং সচেতনতা তৈরি করা। আমরা একসঙ্গে এটা মানুষকে জানাতে চাই যে আমরা আসলে সবাই একসঙ্গে লড়াই করছি। ভারতের ভেতরে যা হচ্ছে, বিশ্বের অন্য দেশেও এটাই চলছে।’

২০১৬ সালের মিস ওয়ার্ল্ড পুয়ের্তো রিকোর স্তেফানি দেল ভ্যালি: ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এই খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামা। তিন তারকা সব সময়ই সামাজিক ইস্যুগুলোতে কাজ করেছেন। শিক্ষা, ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্য, বৈষম্য, বর্ণবাদ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তাঁরা সোচ্চার ছিলেন। এবার এই মহামারির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে নেমেছেন। ‘আমরা ভারতে যে প্রাণহানি, সংগ্রাম, কঠিন জীবনযাপনের কষ্ট দেখেছি, তা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই ঘটছে। মেক্সিকো ও পুয়ের্তো রিকো থেকে মিস ওয়ার্ল্ডরা একই কথা বলবে। আমরা এক বিশ্ব এবং আমরা একসঙ্গে লড়াই করতে পারি ও সম্মিলিতভাবে এই মহামারি নিরাময় করতে পারি।’ বললেন মানুষি ছিল্লার।

২০১৮ সালের মিস ওয়ার্ল্ড মেক্সিকোর ভেনেসা পঁসে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

করোনাভাইরাস দ্রুতই মানুষের জীবনযাত্রাকে স্থবির করে দিচ্ছে। এই তিন সুন্দরী একসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহামারি নিয়ে এবং এই সময়ের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে ভক্তদের সচেতন করবেন। পাশাপাশি তাঁরা তাঁদের নিজেদের দেশে সরকারের সঙ্গে কীভাবে কাজ করছেন, সে ব্যাপারগুলোও শেয়ার করবেন।

মানুষি ইতিমধ্যে ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন। কাজ করছেন ইউনিসেফের সঙ্গেও। তিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। লকডাউনের এই সময়ে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও। কারণ, অনেকের ক্ষেত্রে এটি ট্রমা হিসেবেও দেখা দিচ্ছে।