একটি উৎসব শেষ হতে না হতে আরেকটি উৎসবের খবর এল। কাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের নিয়ে বড় আয়োজন ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব’। এতে ১০ দিনে ৪০টি নাটক দেখবে ঢাকার দর্শক। বাংলাদেশের ৩৬টি দলের সঙ্গে উৎসবে নাটক নিয়ে আসছে ভারতের ৪টি দল।
এবারের গঙ্গা-যমুনা উৎসবের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার ও স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তন, জাতীয় সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তন, নন্দন মঞ্চ ও বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তন। এসব ভেন্যুতে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে থাকবে পথনাটক, আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্যসহ নানা পরিবেশনা।
প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় থাকবে উৎসবের নাটকগুলো।
কয়েক বছর ধরে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব’। আসরটি দুই বাংলার থিয়েটার অঙ্গনে ব্যাপক সমাদৃত। শুরু থেকে কলকাতার এ নাট্যোৎসবে বাংলাদেশের একাধিক নাট্যসংগঠন অংশ নিয়ে আসছে। ২০১২ সাল থেকে একই নামে বাংলাদেশেও একটি উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেয় ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ’। ২০১৪ সালে এসে উৎসবটিকে আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই আলোকে নামকরণ করা হয় ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব’।
বরাবরের মতো এবারের আয়োজনটিও সর্বস্তরের সংস্কৃতিপ্রেমীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি সার্থক ও সফল সংস্কৃতি যজ্ঞে রূপ নেবে বলে মনে করছেন উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ।
গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আয়োজনে এ উৎসবে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ইন্ডিয়া–বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।