আঠারো বছর বয়স

কবিতা থেকে গান...

>প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতা থেকে দুটি গান তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে মিউজিক ভিডিও। গান দুটি সুর করে গেয়েছেন দুই প্রজন্মের বেশ কয়েকজন শিল্পী। কবিতা থেকে গান তৈরির সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা বলেছেন তাঁদের অনুভূতি। লিখেছেন মনজুর কাদের

‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ, স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ, বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি...। আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়, পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়, আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।’

এই বয়সটাকে একজন মানুষ কীভাবে দেখেন তা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই কবিতা নিয়ে দুটি গান তৈরি করা হয়েছে। একটি করেছেন গুণী শিল্পী ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। অন্যটি করেছেন তরুণ সংগীত পরিচালক প্রীতম।

বাপ্পার সুর ও সংগীতে করা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কণা, পারভেজ, এলিটা ও বাপ্পা নিজে। গানটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর কাছ থেকে আমাকে যখন এই কবিতা থেকে গান তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন থেকেই ভাবছিলাম কীভাবে সুর করব। কবিতাটি হাতে পাওয়ার পর মিটিংয়ে বসে অনেক ভাবনা আসে। ফাইনালি যখন গানটাকে কম্পোজিশন টেবিলে ফেললাম, তখন ভেবেছি, গানটিতে তারুণ্য ব্যাপারটিও যেন উঠে আসে। সমসাময়িক বিষয়টি আমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। রক বলব না, আপবিট করে তরুণদের শুনতে যেন ভালো লাগে, সেভাবেই সুরটি তৈরি করি। যেন তরুণদের পাশাপাশি সবার মাঝে একটা স্পিরিট তৈরি করে। সেই ভাবনা থেকে গানটার সুর করি।’
জানালেন সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখার প্রতি তাঁর ভালো লাগার কথাও। বললেন, ‘তাঁর লেখনী অসম্ভব শক্তিশালী। এ রকম লেখা এত অল্প বয়সে কীভাবে লিখে গেছেন এটা ভাবতেই আশ্চর্য লাগে।’
আঠারো বছর বয়স কবিতা থেকে গান হতে পারে এ ব্যাপারটাই নাকি এলিটা করিমের কাছে আশ্চর্যের বিষয়। বাপ্পা মজুমদারের স্টুডিওতে যখন কণ্ঠ দিচ্ছিলেন, তখন নাকি কথাটি সহশিল্পী কণাকে বলেছিলেনও। এলিটা বলেন, ‘এই কবিতা সুর ছাড়া আবৃত্তি করলে একটা দারুণ উদ্দীপনা পাওয়া যায়। বাপ্পা দা যে সুরটা করেছেন আমার কাছে সত্যিই অন্য রকম লেগেছে। সারপ্রাইজিং লেগেছে এই ভেবে যে কবিতাটা গান হিসেবে গেয়েছি। খুব আকর্ষণীয় একটা সুর। আমরা যখন সোনারগাঁও হোটেলে গাইছিলাম, উপস্থিত সবার সাড়া দেওয়া দেখে মনে হচ্ছিল, এটা তাঁদেরও মনে ধরেছে। আমার কাছে এটা অর্থবহ একটা গান।’