তিনি ছিলেন আমার বন্ধুর বাবা। আমার সহকর্মী। এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যাঁকে দেখে দেখে আমি বড় হয়েছি। বড় পর্দায় কাজ করার আগ্রহ জন্মেছে। তাঁর মতো কত অভিনেতাই তো আছেন। কিন্তু যে বিষয়টি তাঁকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা করেছে তা হলো, চিন্টু আংকেলের ব্যক্তিত্বের একটা নিজস্ব উষ্ণতা আর একেবারেই স্বতন্ত্র ভালোবাসার বৈশিষ্ট্য। আমার মনে আছে, ২০১২ সালে আওরঙ্গজেব সিনেমায় প্রথম তাঁর সঙ্গে কাজের সুযোগ হয় আমার। গুরগাঁওয়ে শুটিং ছিল। আমি যে কী ভয়ে ছিলাম! অথচ একটুও নার্ভাস না হয়ে, হেঁচকি না তুলে আমি প্রথম দিন পার করলাম। চিন্টু আংকেল সবাইকে খুব অল্প সময়ে সহজ করে নিতে জানতেন। প্রথম দিনের শুটিং শেষে আমরা সবাই হোটেলে ফিরে এলাম। রাতে বাবার (প্রযোজক বনি কাপুর) ফোন। বললেন, চিন্টু আংকেল নাকি তাঁকে ফোন করে বলেছেন, ‘বনি, চিন্তার কিচ্ছু নেই। তোমার ছেলে অভিনয়টা জানে। ও টিকে যাবে।’ এই কথাগুলো আমার কাছে ইন্ডাস্ট্রিতে সদ্য পা রাখা একজন আগন্তুকের প্রতি ভালোবাসা, গ্রহণযোগ্যতার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। আপনার সমস্ত স্মৃতি আমার হৃদয়ে চির-অক্ষুণ্ন থাকবে। অনূদিত