একদিকে ৫ বিয়ে অন্যদিকে হ্যালোইন!

‘ফাইভ ওয়েডিংস’ ছবির দৃশ্যে রাজকুমার রাও ও নার্গিস ফাখরি
‘ফাইভ ওয়েডিংস’ ছবির দৃশ্যে রাজকুমার রাও ও নার্গিস ফাখরি

আজ শুক্রবার একসঙ্গে হলিউডের দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে। নম্রতা সিং গুজরাল পরিচালিত ‘ফাইভ ওয়েডিংস’ ছবিটি আজ ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও মুক্তি পেয়েছে। অন্যদিকে ১৯ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে হরর ছবি ‘হ্যালোইন’। চার দশক আগে মুক্তি পাওয়া ‘হ্যালোইন’ ছবির সিক্যুয়াল এই ছবিটি আজ থেকে বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পাচ্ছেন। ছবিটির পরিচালক ডেভিড গর্ডন।

‘ফাইভ ওয়েডিংস’ ছবিটি হলিউডের, কিন্তু পরিচালক আর ছবির মূল দুই অভিনয়শিল্পী বলিউডের। ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেতা রাজকুমার রাও। অন্যদিকে নার্গিস ফাখরি ২০১৫ সালে হলিউডের অ্যাকশন-কমেডি ছবি ‘স্পাই’-এ অভিনয় করেছেন। ওই ছবিতে নার্গিসের চরিত্রটি খুব সংক্ষিপ্ত হলেও এবার ছবির মূল চরিত্রে আছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘আমেরিকাস নেক্সট টপ মডেল’ দিয়ে আলোচনায় আসেন নার্গিস। তবে বলিউডে তাঁর অভিষেক ঘটে ‘রকস্টার’ ছবি দিয়ে।

‘ফাইভ ওয়েডিংস’ ছবির গল্পে দেখা যায়, শানিয়া ঢালিওয়াল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন তরুণী, পেশায় সাংবাদিক। একদিন শানিয়াকে নিজের কক্ষে ডাকেন সম্পাদক। দায়িত্ব দেন ভারতীয় বিয়ের রীতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির। শুরুতে অনিচ্ছা থাকলেও অনেক দিন পর মাতৃভূমি দর্শনের সুযোগ পেয়ে উড়োজাহাজে চড়ে বসেন শানিয়া। বিমানবন্দরে এই সাংবাদিকের পরিচয় হয় পুলিশ অফিসার হারভাজনের সঙ্গে। একসময় তা রূপ নেয় বন্ধুত্বে। যদিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে শানিয়ার গতিবিধি নজরে রাখতেই হারভাজন এই সম্পর্ক তৈরি করেছেন। একসময় হারভাজনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন শানিয়া। কিন্তু ততক্ষণে ভিনদেশি এই সাংবাদিককে গুপ্তচর হিসেবে সন্দেহ করে বসেছে পুলিশ।

‘ফাইভ ওয়েডিংস’ ছবিতে শানিয়ার চরিত্রে নার্গিস ফাখরি আর হারভাজনের ভূমিকায় আছেন রাজকুমার রাও। এ ছাড়া বো ডেরেক, ডেমি মোরেক ও ক্যান্ডি ক্লার্ককে দেখা যাবে ছবিতে। এদিকে মুক্তির আগেই নতুন খবর হলো, ছবিটি আগামী কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক নম্রতা সিং গুজরাল বলেন, ‘কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে আমার ছবিটি। এটা খুবই আনন্দের এবং সম্মানজনক। মনে হচ্ছে আমাদের সব শ্রম সার্থক হয়েছে।’

‘হ্যালোইন’ ছবির দৃশ্য

চার দশক পর নতুন করে পর্দায় এসেছে ‘হ্যালোইন’। ১৯৭৮ সালে জন কার্পেন্টারের পরিচালনায় প্রথম বড় পর্দায় আসেন সিরিয়াল কিলার মাইকেল মায়ার্স। হ্যালোইনের রাতে এই সিরিয়াল কিলারের টার্গেট ছিল বেবিসিটাররা। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তোলার পাশাপাশি হরর ঘরানার চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কিংবদন্তির স্বীকৃতি পায় ছবিটি। পরে আরও কয়েকটি সিক্যুয়াল হলেও প্রথমটির নামের মর্যাদা রাখতে পারেনি আর কোনো ছবি। তাই এবার সম্পূর্ণ নতুন রূপে বেবিসিটারদের ঘুম হারাম করতে এসেছেন মাইকেল মায়ার্স।

৪০ বছর আগের দুঃস্বপ্ন থেকে রেহাই পাওয়া লরি স্ট্রোড আবারও মুখোমুখি সিরিয়াল কিলারের। শুধু তার জীবনই নয়, আরও অনেকের জীবন রক্ষা করতে এবার লড়াইটা হবে লরির। লরি স্ট্রোড হিসেবে আবার পর্দায় আসছেন জেমি লি কার্টিস আর সিরিয়াল কিলার মাইকেল মায়ার্সের চরিত্রে আবারও দেখা যাবে নিক ক্যাসেলকে। লরি স্ট্রোড চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অমরত্বের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী জেমি লি। কিন্তু এবার সিক্যুয়ালে অভিনয় করতে শুরুতে একেবারেই রাজি হননি। এদিকে জেমিকে ছাড়া চলচ্চিত্রটি নির্মাণের কথা চিন্তাও করতে পারেননি নির্মাতারা। ঘটনা শুনে এগিয়ে আসেন চলচ্চিত্রের লেখক ড্যানি ম্যাকব্রাইডের বন্ধু অভিনেতা জ্যাক গিলেনহাল। তিনিই আবার অভিনয়ের জন্য লি কার্টিসকে রাজি করান।

লি কার্টিস বলেন, ‘আগের সিক্যুয়ালগুলো নিম্নমানের হওয়ায় আমি রাজি হইনি। তবে ম্যাকব্রাইডের চিত্রনাট্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। দর্শক আবার সেই ১৯৭৮ সালের অনুভূতি ফেরত পাবে।’