‘উলভারিন’খ্যাত অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যানের গান শুনেছেন? অভিনয়ে একটু অবসর পেতে না–পেতেই এখন গায়ক হিসেবে দুনিয়া চষে বেড়াচ্ছেন। গান নিয়ে একের পর এক ট্যুর করে চলেছেন এই তারকা। আয়ও করছেন প্রচুর। ৫১ বছর বয়সে এসে হিউ যে এমন গান আর নাচে মন দেবেন, সেটা কে ভাবতে পেরেছিল! হিউ জ্যাকম্যান গায়ক, নাকি নায়ক—এ ব্যাপারে এখন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে। এমন মধুর সমস্যা কিন্তু শুধু হিউয়ের বেলায় নয়, ঘটেছে আরও অনেক শিল্পীর সঙ্গেই।
এলভিস প্রিসলি
‘কিং অব রক অ্যান্ড রোল’ এলভিস প্রিসলি যদি শুধুই গান করে যেতেন, তাহলে সেটা এই সুদর্শনের ভক্তদের সঙ্গে অন্যায় করা হতো। ভাগ্যিস, এই গানের শিল্পী অভিনয়েও নাম লিখিয়েছিলেন! তাই গায়ক আর নায়ক—দুই রূপেই তিনি পেয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা। ১৯৫৪ সালে ‘দ্যাটস অল রাইট’, ‘গুড রকিং টুনাইট’ গানগুলো দিয়ে গায়ক প্রিসলির অভিষেক হয়। ঠিক বছর দুই পরেই ১৯৫৬ সালে নায়ক প্রিসলি সবার সামনে আসেন লাভ মি টিন্ডার ছবিটি দিয়ে। এরপর নায়ক আর গায়ক—দুই পরিচয় নিয়ে সমানতালে এগিয়েছেন এলভিস, হয়ে উঠেছেন সর্বকালের সেরা ‘আইকন’।
লেডি গাগা
নিজের গান আর ফ্যাশনজ্ঞানের কারণে লেডি গাগা অনেক বছর ধরেই আলোচিত ও সমালোচিত। তবে অভিনয়েও যে তিনি কম যান না, সেটাও প্রমাণ করে দিয়েছেন। আ স্টার ইজ বর্ন–এর মাধ্যমে সবার নজর কাড়লেও লেডি গাগার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল আরও আগে। দ্য জেন অব বেনেট সিনেমা দিয়ে ২০১২ সালে অভিনেত্রী গাগার যাত্রা শুরু। তারপর একে একে কেটি পেরি: পার্ট অব মি, সিন সিটি, আমেরিকান হরর স্টোরিসহ বেশ কিছু সিনেমায় নায়িকা হিসেবে পাওয়া গেছে গায়িকা গাগাকে।
মাইকেল জ্যাকসন
এই তালিকায় মাইকেল জ্যাকসনের নামটা না থেকে পারেই না! গান দিয়েই তাঁর নাম সবাই জানতে শুরু করে। অসাধারণ সব গানের জন্য তিনি জায়গা করে নেন সবার মনে। পাশাপাশি নিজের একটা পুরো আলাদা নাচের ধরন দিয়ে জ্যাকসন হয়ে ওঠেন ইতিহাস! জ্যাকসনের গানগুলো এ শিল্পীর সিগনেচার নাচ ছাড়া ভাবাই যায় না। গান দিয়ে এমজে যেমন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা হয়েছেন, তেমনই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে নাচের শিল্পীরাও তাঁকে আদর্শ মেনে চলছে। গায়ক জ্যাকসনের নাচ নিয়ে হয়েছে অনেক অনেক গবেষণা, পরীক্ষা, নিরীক্ষা।
মার্শমেলো
নিজের চেহারা দেখাতে চান না মার্শমেলো। কিন্তু নিজের প্রতিভাকে আবার দমিয়েও রাখতে চান না। নানা ধরনের প্রতিভা এই সংগীতশিল্পীর ভেতর চেপে চেপে ভরা। যেমন সুর করেন, তেমনই লেখেন, আছে ডিজে হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি। তাঁর আছে আরেকটি প্রতিভা। তিনি পাকা রাঁধুনি। ইউটিউবে নিজের চ্যানেল থেকে নতুন নতুন গান মুক্তির পাশাপাশি সহশিল্পীদের নিয়ে করা নতুন সব রান্নার ভিডিও–ও পোস্ট করেন মার্শমেলো। আর সেই রান্নার ভিডিও বেশ জনপ্রিয় তাঁর ভক্তমহলে। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা মার্শমেলোর গান না শুনলেও তাঁর রান্নার ভিডিও কখনো মিস করেন না। তাঁর একেকটা রেসিপির ভিডিও দর্শকসংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়, সংগীতশিল্পী মার্শমেলোর চেয়ে রাঁধুনি মার্শমেলো কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
সূত্র: টেলিগ্রাম, শিকাগো ট্রিবিউন, উইকি ইত্যাদি