ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে ‘উইমেন’স লেন্স’ শিরোনামে আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব। আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে এই উৎসবের যাত্রা শুরু হলো মঙ্গলবার।
বিশ্ব নারী দিবসের অংশ হিসেবে ‘উইমেন’স লেন্স’ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী দিনে ‘চলচ্চিত্রে নারী: জেন্ডার কেন প্রাসঙ্গিক?’ শিরোনামে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওয়েবিনারটি সম্প্রচারিত হয়েছে। ওয়েবিনারে অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোপা বিশ্বাস সিজার, অ্যাপলবক্স ফিল্মসের পরিচালক রাকা নশীন নাওয়ার, চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্তিকা কামাল ও চলচ্চিত্রকর্মী স্বপ্ন সমুদ্র।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্তিকা কামাল বলেন, ‘আমাদের সিনেমায় নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, আর পুরুষকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়; এই পার্থক্য এতটাই বড় যে তা জঘন্য বলা যায়।’ ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোপা বিশ্বাসের মতে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নারীর জন্য কোটাব্যবস্থাই নারীকে পিছিয়ে রেখেছে।
‘হার ভয়েস হার ভিশন’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া এই উৎসবের লক্ষ্য হলো দেশ ও দেশের বাইরের নারী চলচ্চিত্রকারদের একটি আন্তসাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্মের সুযোগ করে দেওয়া। নারীদের চোখে বিশ্ব সিনেমাকে দেখা এবং দেখানো।
উৎসবে শর্টফিল্ম সাবমিশন শুরু হচ্ছে আজ। চলবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। শর্টফিল্ম জমা দেওয়া যাবে দুটি বিভাগে। এর মধ্যে লাইভ অ্যাকশন বিভাগের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২০ মিনিট। অ্যানিমেশন বিভাগের সময়সীমা ২০ মিনিট। সবার জন্য উন্মুক্ত এই উৎসবে একজন সর্বোচ্চ দুটি শর্টফিল্ম জমা দিতে পারবেন। বিদেশি চলচ্চিত্রকারদের ক্ষেত্রে জমাদানের ফি ১০ ডলার এবং বাংলাদেশি চলচ্চিত্রকারদের জন্য এই ফির পরিমাণ ৫০০ টাকা মাত্র। আগামী ৮ মে উৎসবটির পর্দা নামবে।