আমার দোষ-গুণ

আমি একটু বেশিই খাবারপ্রিয় মানুষ: অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস ছবি: আনন্দ
অপু বিশ্বাস ছবি: আনন্দ

দোষ-গুণ মিলিয়েই মানুষ। তারকারাও এর বাইরে নন। তারকাদের ভালো গুণগুলো কী, তাঁদের কি কোনো মন্দ দিক আছে? এবার তারকার নিজের মুখেই শুনুন দোষ-গুণের খবর

আমার যত দোষ
l নিজের দোষ কেউ কি বলে? হা হা হা... ওহ্! হ্যাঁ, হ্যাঁ আমার দোষ আছে জানেন, আমার সঙ্গে কারও মতের মিল না হলে একটুতেই রেগে যাই। তখন বাসায় কেউই আর আমার সামনে আসে না। রুম বন্ধ করে অনেকক্ষণ মুখ গোমড়া করে বসে থাকি।
l অনেক সময় দেখা যায়, কোনো মানুষকে বিশ্বাস করতে গিয়ে একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ি। কিন্তু দ্বিধাদ্বন্দ্বের একপর্যায়ে নিজের মনের কাছে তা আর ধোপে টেকে না। ঠিকই বিশ্বাস করে বসি। এবং সেই বিশ্বাস অনেক সময় কাল হয়ে দাঁড়ায়।
l আমি একটু বেশিই খাবারপ্রিয় মানুষ। এ-ও জানি, মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। জানার পরও সেই জালে অনেক সময় ঠিকই জড়িয়ে যাই। সামনে কোনো রিচ ফুড থাকলে সামনে-পেছনে তাকানোর সময় নিই না। নিমেষে মোটামুটি সাবাড় করার চেষ্টা করি। বিশেষ করে পোলাও-জাতীয় খাবার হলে মাথা ঠিক থাকে না। নিশ্চয়ই এটা আমার একটা বড় দোষ। তাই না? হা হা হা...।

আমার যত গুণ

l আমার কাছে মনে হয়, আমি মানুষকে বেশি ভালোবাসি। অপরিচিত কারও সঙ্গে পরিচয় হলে খুব তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে আন্তরিকতা তৈরি হয়ে যায়।

l আমি নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করি। অনেক সময় বাসায় মা একটু অসুস্থ হলে রান্নার কাজও করি। আমি কিন্তু মোটেও খারাপ রান্না করি না।...হা হা হা। আবার বাসায় কাজের মেয়ে আসেনি? নো চিন্তা...বাসার গোছগাছ নিজেই সেরে ফেলি। এমনকি গাড়ির ড্রাইভার না এলে নিজেই ড্রাইভ করে কাজে যাই।

l আমি নিজে থেকেই বলছি, আরেকটি ভালো গুণ আমার আছে। আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। সকালের শুদ্ধ বাতাস আমার খুব প্রিয়। আর সকালে ওঠার কারণে আমার কাজের দিন বড় হয়। এই সুযোগে আমার শুটিংয়ের শিডিউলটাও ঠিক রাখা সহজ হয়। স্পটে ঠিক সময়েই যেতে পারি।

l গ্রন্থনা: শ. আ. মা.