‘জানেন, আমরা ৩ টাকায় বিয়ে করেছি। কি, কিউট না? আমাদের বিয়ের দেনমোহর ৩ টাকা।’ এভাবেই বললেন আলোচিত নায়িকা পরীমনি।
৯ মার্চ দিবাগত রাতে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে বিয়ের কাজটি সেরে নেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও পরিচালক কামরুজ্জামান রনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের খবর প্রকাশ করেন পরীমনি এবং তাঁর স্বামী কামরুজ্জামান রনি। বর্তমানে তাঁরা মোংলায় আছেন। সেখানে পরীমনি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির শুটিং করছেন।
৩ টাকা দেনমোহরের বিষয়ে পরীমনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক হিসাবনিকাশ করে তো জীবনের পরিকল্পনা করাই যায়। কিন্তু জীবন চলে তার নিজস্ব পথে। জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে সবই আল্লাহর হাতে—এটা আমি খুবই মানি। আমার কাছে মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটার ওপর নির্ভর করে মানুষ তার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’
জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘মানুষ যখন কাউকে “আই লাভ ইউ” বলে, তোমাকে আমি চাই— এটা কিন্তু তাকে ছাড়ার জন্য নিশ্চয় বলা হয় না। কিন্তু এখন বিয়ের শুরুতেই বলে দেওয়া হয়, দেনমোহর কত হবে? ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে এগুলো আবার দিতে হবে। এগুলো কিন্তু একটা মানসিক চাপ হিসেবে মাথায় ঢুকে যায়। ছাড়াছাডি নিয়ে চিন্তার চেয়ে আমার কাছে বন্ধনটা খুব জরুরি। জীবনের অনেক কিছু হিসাবনিকাশ করে হয় কিন্তু বিয়ের মতো বড় বিষয়ে হিসাবনিকাশ চলে না। আমি খুবই খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি একটু পাগল আছি তো, ও যেন আমাকে ঠিকঠাক বোঝে— সেই দোয়া সবার কাছে চাইছি।’
বিয়ের পর পরীমনি কাজে অনেক বেশি মনযোগ দিতে চান বলে জানালেন। আগামী ২০ দিন ‘অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন’ ছবির শুটিংয়ে ঢাকার বাইরে থাকবেন এই চিত্রনায়িকা।
২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমনির। সে বছর ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি, যদিও এখনো মুক্তি পায়নি ছবিটি। পরীমনি অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভালোবাসব তোমায়’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘রক্ত’ ও ‘স্বপ্নজাল’।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে পরীমনির বাগদান হয়। অনেকের ধারণা ছিল, পরের বছরের কোনো এক ভালোবাসা দিবসে বিয়ের কাজটি সেরে নেবেন তাঁরা। কারণ ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁদের পক্ষ থেকে প্রেমের ঘোষণা আসে। শেষ পর্যন্ত তামিমের সঙ্গে বিয়ে হয়নি। ২০১৯ সালের জুনে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরীমনি তাঁর বাগদান ভেঙে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।