জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
স্বজনেরা জানান, আজ সকালে বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আইয়ুব বাচ্চু। সকাল সোয়া নয়টার দিকে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক মির্জা নাজিম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সোয়া নয়টার দিকে আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে তাঁর স্বজন, সহশিল্পী, সহকর্মী ও ভক্তদেরদরে মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। ষাটের দশকে চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম।
নব্বইয়ের দশক থেকে ব্যান্ড সংগীতের চর্চা শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু। প্রায় তিন যুগের সংগীতজীবনে আইয়ুব বাচ্চু গানের পাশাপাশি তাঁর গিটারের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। যেকোনো স্টেজ শোতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই গায়ক ও সংগীত পরিচালকের গিটারের মূর্ছনা উদ্দীপ্ত করেনি, এমন গানপাগল খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
গত ১৬ আগস্ট শেষ জন্মদিন পালন করেন ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। এ দিন তিনি বলেছিলেন, ‘এমন কিছু গান করতে চাই, যা আগে কখনো করিনি। এই গানগুলো নিজে লিখব, সুর করব ও গাইব।’
জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু বেশির ভাগ সময়ই নিজের সুর ও সংগীতে গান করেছেন। তবে অন্যের সুর-সংগীতেও তিনি গান করেছেন।