শমী কায়সার। মঞ্চ ও টেলিভিশনের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। এখন অভিনয় থেকে একেবারেই নিজেকে দূরে রেখেছেন। মনোযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের প্রতি। সম্প্রতি একটি টেলিছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয়ের বিরতি ঘোচালেন। উত্তরায় ‘প্যারালাল ইমেজ’ টেলিছবির শুটিং করলেন। এটি পরিচালনা করেছেন আলভী আহমেদ। অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গে শমী কায়সারের সঙ্গে কথা বলেছেন মনজুর কাদের।
কত বছর পর অভিনয় করলেন?
তা প্রায় সাত বছর হবে। ২০০৫ সালের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে সর্বশেষ নাটকের কাজ করেছিলাম। মান্নান হীরার পরিচালনায় নাটকটির নাম ‘নোনা জলের কাব্য’। নাটকটির প্রযোজক ছিলেন আলী বশীর। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে নাটকটির শুটিং করেছিলাম। নাটকটিতে আমি ছাড়াও আজিজুল হাকিম, টনি ডায়েস, মাহফুজ আহমেদ ও শ্রাবন্তী অভিনয় করেছিলেন।
এত বছর অভিনয় করেননি কেন?
সত্যি কথা বলতে, অভিনয়টা সব সময়ই টানে। কিন্তু অভিনয় করার মতো ওরকম চিত্রনাট্য খুব একটা পাই না। আর যা-ও পাই তখন ব্যস্ততার কারণে সময় করে উঠতে পারি না। অভিনয়টা খুব মিস করি।
এত বছর পর অভিনয় করতে রাজি হলেন কেন?
অনুরোধে।
শুধুই কি অনুরোধ?
নাহ, তা হবে কেন? গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে ‘প্যারালাল ইমেজ’ টেলিছবির গল্পটা যে অসাধারণ, তা বলব না। আলভী আহমেদ কিন্তু একজন ভালো নির্মাতা। ‘প্যারালাল ইমেজ’ টেলিছবিতে স্বামী-স্ত্রীর মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার জায়গা থেকে যে শূন্যতা কিংবা নিরাশা তৈরি হয়, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি, সবকিছু মিলিয়ে ভালো একটা কাজ হবে।
‘প্যারালাল ইমেজ’ টেলিছবিতে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ অভিনয় করছে...
হ্যাঁ। নতুনদের কাজ সব সময় আমার ভালো লাগে। আর নতুনদের সঙ্গে কাজ করতেও ভালো লাগে। এই টেলিছবিতেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আর নতুনরাও কিন্তু বেশ ভালো কাজ করে।
অভিনয় কি নিয়মিত করবেন...
তা বলা মুশকিল। তবে ভালো মানের গল্প পাওয়ার পর যদি সময় করে উঠতে পারি, তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব।