দুই বছর পর মুক্তি পেয়ে মাত্র দুই দিন প্রেক্ষাগৃহে ছিল অনুপ্রবেশ নামের ছবিটি। এ উদ্যোগের পেছনে অঢেল বিনিয়োগ ছিল না। ছিল না অনেক শক্ত–পোক্ত হাত। ছবির নেপথ্যের মানুষটির আন্তরিকতা, প্রচেষ্টা, শ্রম, নিষ্ঠা ও ভালোবাসা ছিল যেকোনো আর্থিক বিনিয়োগের থেকে অনেক বেশি। বহু মেধার সম্মিলনে যেটি নির্মাণের কথা, সেটি একক প্রচেষ্টায় করতে গেলে যা হয়, অনুপ্রবেশ ছবির ক্ষেত্রে সেটিই হয়েছে। এটি আদতে একটি আবেগময় উদ্যোগ।
অনুপ্রবেশ ব্যতিক্রম। সাধারণ সিনেমার তুলনায় এটি মন্থর। টিভি নাটক বলে চালিয়ে দিলে কেউ ধরতে পারবে না। রগরগে দৃশ্য, মারপিট বা আইটেম গান না থাকলে অনেকেই সিনেমাকে সিনেমা বলতে চান না।
নিজের উপন্যাস থেকে ছবির চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক তাপস কুমার দত্ত। গল্পে প্রেমিকা অবন্তিকে নিয়ে নায়ক অরিষ্ট মোটরবাইক দুর্ঘটনার শিকার হন। কোমায় চলে যান তিনি। এ সময় তাঁর মগজের ভেতরে ঘটতে থাকে বিভিন্ন সময় ও ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিভ্রমণের ঘটনা। তিনি দেখেন, তাঁর চোখে দর্শকেরা দেখেন, অবন্তির রূপ ধরে ভিনগ্রহের একটি প্রাণী তাঁর মস্তিষ্কে অনুপ্রবেশ করে তাঁর মস্তিষ্ককে কখনো হরিণ বা ব্যাঙে রূপ দেয়। নিজে সিংহ হয়ে হরিণ অরিষ্টের মাংস খায়, ব্যাঙ হয়ে যৌনতা উপভোগ করে, কখনো বনবাসী মানুষ অরিষ্টকে সংসার করার অভিজ্ঞতা দেয়। মানুষের জীবন নিয়ে নানা সময় ও অভিজ্ঞতায় ভ্রমণের এই কাহিনি একজন অভিজ্ঞ তাপসের হাতে অন্য রকম হতে পারত। প্রথম ছবি হিসেবে তাপস যেটি করেছেন, সেটিও দৃশ্যত কম সার্থক নয়।
১৯ জুলাই দুটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল চলচ্চিত্র অনুপ্রবেশ। বিশ্বের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে আসা ছবিটি আবারও ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দেখা যাবে বলে জানা গেছে। অনুপ্রবেশ-এ দুটি গান। কণ্ঠ দিয়েছেন রূপঙ্কর ও শুভমিতা। সংগীতায়োজন করেছেন ভারতের সুরকার সৌম্য বসু। অভিনয় করছেন কলকাতার অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, আলতাফ হোসেন, অলিউল হক। কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন আনোয়ার সায়েম ও সানজিয়া ইসলাম।