সবাই যা জানেন তার বাইরেও ছিল রাজ্জাকের ভুবন। সে রকম কিছু অজানা বিষয় তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
* শৈশবে ফুটবলে গোলকিপার হয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।
* বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পরিচালক আবদুল জব্বার খানের সহকারী পরিচালক হিসেবে চাকরি করেছেন ইকবাল ফিল্মসের ব্যানারে।
* ষাটের দশকের ব্যস্ত রোমান্টিক নায়ক রহমান দুর্ঘটনায় পা হারানোর পর তখনকার রোমান্টিক নায়কের অভাব পূরণে রাজ্জাক ছিলেন প্রথম নায়ক।
* উর্দু চলচ্চিত্রের আধিপত্য থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থান তৈরি হয় রাজ্জাকের মাধ্যমে।
* চিত্রালী পত্রিকার সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী রাজ্জাকের বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজের জন্য তাঁকে নায়করাজ উপাধি দেন।
* অভিনেতা ও পরিচালকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে তাঁর আরও দুটি পরিচয় তিনি প্রযোজক ও পরিবেশক।
* বাংলাদেশি প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমেডি ছবি ১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন-এ ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।
* নায়কের পাশাপাশি তখনকার অন্যান্য ব্যস্ত নায়কদের ছবিতে অতিথি চরিত্র করেছেন। যেমন অতিথি, মাসুদ রানা।
* জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপস্থাপক হানিফ সংকেতকে প্রথমবার চলচ্চিত্রে আনেন চাঁপা ডাঙ্গার বউ ছবিতে খল চরিত্রে।
* কলকাতায় প্রথম দিকে শিলালিপি ও পঙ্কতিলক নামে দুটি ছবিতে অভিনয় করেন।
* আশির দশকে কিছু মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে রাজ্জাক একা থাকতেন। চিত্রালী পত্রিকায় সংবাদ হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল ‘নিঃসঙ্গতাই এখন রাজ্জাকের অসুখ’।
* নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে টালিউডি বাংলা চলচ্চিত্রের ক্রান্তিলগ্নে রাজ্জাক ছিলেন তাদের বড় অভিভাবক। তাঁর পরামর্শে ও পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আবারও ঘুরে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বাবা কেন চাকর, সন্তান যখন শত্রু ছবির রিমেকের মাধ্যমে।
* মৃত্যুর পরও রাজ্জাক ক্যামেরাবন্দী হবেন ‘দাফন-কাফন’ নামে একটি ডকুমেন্টারিতে।