ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে ১১৪ জন মারা গেছেন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ৮৪৭ জন। অন্যদিকে ৭৪২ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকায় ৫ জন ও ঢাকার বাইরে ৩ জন মারা গেছেন।
এদিকে এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ডিপিই থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সংশ্লিষ্ট সব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অবহিত করা যাচ্ছে যে দেশে এডিস মশার বিস্তার ও এর মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন, সতর্ক হওয়া ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
১.
অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমতে পারে (যেমন প্রতিষ্ঠানের ছাদ, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব, বাগান, নালা, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, টায়ার ইত্যাদি), সেসব জায়গা চিহ্নিত করে এক দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।
২.
অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে, যেন পানি না জমে।
৩.
অব্যবহৃত হাইকমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে।
৪.
লো-কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
৫.
কোনো জায়গায় জমা পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
৬.
ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন/পৌরসভার সঙ্গে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৭.
ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকতে হবে।
৮.
শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো অবহিত করতে হবে।
৯.
ওপরের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ রাখতে হবে।