এসএসসিতে একজনও পাস না করা ১০ স্কুলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এমন উল্লান সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল না। কারণ ৫০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবারের পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি
ফাইল ছবি

গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় একজনও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন এমন ১০টি বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে ওই ১০টি বিদ্যালয়ের পাসের হার শূন্য হওয়ার কারণ কী। কী ধরনের সহযোগিতা করলে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করতে পারবে, তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা। প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিগত পাঁচ বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী ও পাসের হারের বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি এই চিঠি দেওয়া হয়।  

গত বছরের ২৮ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে ৯টি সাধারণ সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কেউ পাস করতে পারেনি। এর মধ্যে বিদ্যালয় ১০টি। বাকিগুলো মাদ্রাসা।

বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন রাজশাহীর দুর্গাপুরের জুগিশো চয়নিকা গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র দুজন। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত নয়। পুঠিয়ার তারাপুর হাইস্কুল থেকে একজন পরীক্ষা দিলেও পাস করতে পারেনি।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের কুঞ্জামহিপুর দ্বিমুখী বালিকা বিদ্যালয় থেকে তিনজন পরীক্ষা দিয়েছিল। নীলফামারীর ডিমলার পশ্চিম খরিবাড়ী আছিয়া খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছিল দুইজন। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম সদরের খামার বড়াইবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় থেকে চারজন পরীক্ষা দিলেও কেউ পাস করেনি। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হাজীপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ছয়জন। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বলরামহাট মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল দুজন।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন যশোরের মনিরামপুর গলদা খারিঞ্চি গার্লস হাইস্কুলের পরীক্ষার্থী ছিল একজন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ গ্লোবাল স্কলার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের অধীন জামালপুরের বিজয়নগর উচ্চবিদ্যালয় থেকে সাতজন পরীক্ষা দিলেও কেউ পাস করতে পারেনি।