ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বই বিতরণ উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বই বিতরণ  উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে

স্কুলে স্কুলে আজ বই উৎসব

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় আজ রোববার নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সারা দেশে সব মিলিয়ে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হবে। এবার মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তক উৎসব হচ্ছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কাপাসিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে। আর প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। এখানে এসে দেখা গেছে বই বিতরণ উৎসবের আয়োজন শেষ করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হবে উৎসব।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

এবার প্রাথমিকে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি এবং মাধ্যমিকে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৮টি বই ছাপানো হচ্ছে। এনসিটিবির সূত্রমতে, গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রাথমিকে ৭ কোটি ৫০ হাজারের কিছু বেশি বই ছাপা হয়েছে। তবে ছাপার পর আনুষঙ্গিক কাজ শেষে উপজেলা পর্যায়ে গেছে ৬ কোটি ৭৭ লাখের বেশি বই। অন্যদিকে মাধ্যমিকে ১৯ কোটি ২২ লাখের বেশি বই ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে গেছে ১৭ কোটি ৭৯ লাখের বেশি বই।

এসব তথ্য বলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উৎসব হলেও আজ বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী সব বই হাতে পাবে না। নানামুখী জটিলতায় এবার ছাপার কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী কয়েকটি করে বই পাবে।

গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রাথমিকের প্রায় ২৭ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ১৯ শতাংশের মতো বই ছাপাই হয়নি।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, পাঠ্যপুস্তক উৎসবের কোনো ঘাটতি হবে না। উৎসবের জন্য সব জায়গাতেই বই গেছে এবং সব শিক্ষার্থীই নতুন বই হাতে পাবে। তবে শতভাগ বই দিতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।