রোজনামচা:
আমাদের জীবনে হাজারো ঘটনা ঘটে। রোজনামচা সেসব ব্যক্তিগত ঘটনার টুকরো টুকরো ইতিহাস। তাই বলতে হয়, রোজনামচা একপ্রকার ব্যক্তিগত লেখা। দৈনন্দিন জীবনের কোনো নতুন বিষয়, তথ্য, ঘটনা, অনুভূতির কথা ইত্যাদি আমরা রোজনামচায় লিখে রাখতে পারি। এ ছাড়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, অর্থাৎ নতুন কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে সেই অভিজ্ঞতাও রোজনামচায় লিখে রাখা যায়। যেহেতু রোজনামচা একটি ব্যক্তিগত লেখা, তাই অনুমতি ছাড়া অন্যের রোজনামচা পাঠ করতে নেই। তা ছাড়া অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ যেন নিজের রোজনামচা পড়তে না পারে, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
আবার রোজনামচা যদি অন্যকে পড়ানোর উদ্দেশ্যে লেখা হয়, সে ক্ষেত্রেও লক্ষ রাখতে হবে যেন এমন কোনো ব্যক্তিগত বিষয় সেখানে লেখা না হয়, যা পরবর্তী সময়ে নিজের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা একাত্তরের দিনগুলি রচনাটি প্রথমে নীরবে এবং পরে সরবে পাঠ করো। পড়ার সময় প্রমিত উচ্চারণের বিষয়টি খেয়াল রাখবে। পাঠের কোনো শব্দের অর্থ বুঝতে সমস্যা হলে সেগুলো চিহ্নিত করে রাখবে। লেখাটিতে যেসব নতুন শব্দ খুঁজে পাবে, সেগুলো পাঠ্যবইয়ের ‘শব্দের অর্থ’ অংশ থেকে পড়ে নেবে। ‘শব্দের অর্থ’ অংশে প্রদত্ত শব্দের অর্থের বাইরে আরও কোনো শব্দের অর্থ জানতে তোমরা শিক্ষক ও অভিধানের সাহায্য নিতে পারো।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা