[পূর্ববর্তী লেখার পর]
যোগাযোগ
যোগাযোগ হচ্ছে মানুষে মানুষে মনের ভাব আদান–প্রদানের একটা উপায়। কাজেই এই প্রক্রিয়ায় দুজন বা আরও বেশিসংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাব বিনিময় হয়। যোগাযোগের সময় আমরা প্রধানত দুটি কাজ করি। ১. নিজের চিন্তা–অনুভূতি–চাহিদা প্রকাশ করি এবং ২. অন্যের চিন্তা–অনুভূতি–চাহিদা বোঝার চেষ্টা করি।
যোগাযোগের মাধ্যম:
যোগাযোগ করার জন্য আমরা যেসব উপায় অবলম্বন করি, সেগুলোকে বলা হয় যোগাযোগের মাধ্যম। যোগাযোগের তিনটি মাধ্যম রয়েছে।
নিচে তিনটি মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো—
১. প্রত্যক্ষ মাধ্যম: প্রত্যক্ষ মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একপক্ষ বলে ও মন অন্যপক্ষ শোনে। এ ক্ষেত্রে গলার স্বর, কথার সুর, ইশারা, অঙ্গভঙ্গি, কারো প্রতি তাকানোর ধরন ইত্যাদি দিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
২. লিখিত মাধ্যম: লিখিত মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে লেখা ও পড়ার কাজটি মুখ্য। এ ধরনের যোগাযোগের নমুনা হচ্ছে চিঠিপত্র, সাহিত্য, নোটিশ, ব্যানার, মোড়ক, বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞপ্তি, পোস্টার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, সাইনবোর্ড, প্রতিবেদন, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি।
৩. যান্ত্রিক মাধ্যম: যান্ত্রিক মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের যোগাযোগের নমুনা এসএমএস, ই–মেইল, অনলাইন মিটিং, অডিও–ভিডিও কল, সিনেমা ইত্যাদি।
যোগাযোগের উপকরণ
কার্যকর যোগাযোগের জন্য মাধ্যমের পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। যেমন—
১. প্রত্যক্ষ উপকরণ: সরাসরি কথা বলার সময় যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে বলা হয় প্রত্যক্ষ উপকরণ যেমন বাক্প্রত্যঙ্গ, গান, হাত, আঙুল, চোখ, ইশারা, সংকেত, ইত্যাদি।
২. লিখিত উপকরণ: লিখিত ভাব প্রকাশের সময় যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়, সেগুলো লিখিত উপকরণ যেমন কাগজ, কলম, পেনসিল, বই, পত্রিকা, দেয়ালপত্রিকা, ব্ল্যাকবোর্ড, হোয়াইটবোর্ড, ছবি ইত্যাদি।
৩. যান্ত্রিক উপকরণ: যোগাযোগের সময় যেসব যন্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে বলা হয় যান্ত্রিক উপকরণ। যেমন মুঠোফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাইক্রোফোন, লাউডস্পিকার, মাইক, হেডফোন, রেডিও, টেলিভিশন, অডিও রেকর্ডার, ক্যামেরা,
স্ক্যানার ইত্যাদি।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
[পরবর্তী দিনের লেখা]