রসায়ন ২য় পত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দেখে নাও

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : বিশেষ পরামর্শ

রসায়ন ২য় পত্র

এ এস এম আসাদুজ্জামান

রসায়ন ২য় পত্র পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের চারটি অধ্যায়ের নির্বাচিত অংশগুলো থেকে পরীক্ষা হবে। তোমাদের পরীক্ষা সমাগত, এই সময়ে প্রতিটি অধ্যায়ের খুঁটিনাটি পড়ার সুযোগ নেই। তাই যে চারটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে সেগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দেখে নাও এবং অন্যান্য যা তোমরা সারা বছর অনুশীলন করেছ সেগুলো রিভিশন দাও।

১ম অধ্যায়: বাস্তব গ্যাস, আদর্শ গ্যাস, বয়েল, চার্লস–গ্রাহামের ব্যাপনসূত্র ব্যাখ্যাটা ভালো করে  পড়বে। গ্রাহামের সূত্র প্রয়োগ করে ব্যাপনের হার বের করার সময় R এর মান। অ্যাসিড–ক্ষারসংক্রান্ত আরহেনিয়াসের তত্ত্ব ব্যাখ্যা মনে রাখা জরুরি এবং বিভিন্ন মতবাদে অ্যাসিড–ক্ষারকের ব্যাখ্যা সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য তৈরি রাখবে।  

২য় অধ্যায়: এ অধ্যায়টি জৈব যৌগ নিয়ে। অনেকের ভয় থাকে এ অধ্যায়টি নিয়ে। নির্ধারিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য অবশ্যই সচেষ্ট থাকতে হবে। জৈব যৌগের সংযোজন (ইলেক্ট্রোফিলিক ও নিউক্লিওফিলিক), প্রতিস্থাপন (ইলেক্ট্রোফিলিক ও নিউক্লিওফিলিক) অপসারণ ও সমাণুকরণ বিক্রিয়া (সাধারণ) ব্যাখ্যা করতে পারবে। প্রতিটি বিক্রিয়ার উপযুক্ত তাপমাত্রা, চাপ ও প্রভাবক উল্লেখ করতে হবে।

৩য় অধ্যায়: জারণ–বিজারণ, রাসায়নিক গণনা ও মোলার আয়তন অংশ মনোযোগ দিয়ে পড়বে। পরিমাণগত রসায়ন অধ্যায়ের জন্য কোনো দ্রবণের ঘনমাত্রা শতকরায় দেওয়া থাকলে তার আগে মোলারিটিতে নিয়ে অতঃপর ppm এককে রূপান্তর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উক্ত দ্রবের আণবিক ভর জানা জরুরি।

৪র্থ অধ্যায়: তড়িৎ বিশ্লেষ্যের পরিবাহিতা ব্যাখ্যা, ফ্যারাডের প্রথম সূত্র প্রয়োগ করে তড়িৎ বিশ্লেষ্যে পদার্থের পরিমাণ নির্ণয়, িবক্রিয়া, কোষ বিভব ও প্রমাণ কোষ বিভবের মান নির্ণয়, নার্নস্ট সমীকরণ ব্যবহার করে কোষ বিভবের মান নির্ণয় অংশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষেত্রে প্রতিটি চার্জের মানের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের পরিমাণ উল্লেখ করবে। জমাকৃত ধাতুর পরিমাণ বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট ধাতুর পারমাণবিক ভর ও যোজ্যতা জানা জরুরি।