ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বই - জীবন ও জীবিকা | কাজের মাঝে আনন্দ - অ্যাসাইনমেন্ট

ষষ্ঠ শ্রেণির পড়াশোনা

কাজের মাঝে আনন্দ

প্রিয় শিক্ষার্থী, আজকের পাঠে জানব সুখী ও সুন্দর পরিবার গড়তে পরিবারের কাজগুলো মিলেমিশে করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

পরিবারে নিজেদের কাজ হচ্ছে—ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, গোসল করা, খাবার গ্রহণ করা, পোশাক পরা, স্কুলে যাওয়া ইত্যাদি। এ কাজগুলো একান্ত নিজের কাজ, তাই নিজেকেই করতে হয়। অন্যদিকে খাবার রান্না করা, বাগান পরিচর্যা করা, পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়া, ঘর গোছানো, শিশু ও প্রবীণদের দেখাশোনা করা ইত্যাদি পরিবারের কাজ। সময় পেলে এ কাজগুলোও নিজেরা করার চেষ্টা করব কিংবা মা–বাবাকে সাহায্য করব। এর ফলে পরিবারের সবার কাজের চাপ কমবে, একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ বাড়বে। পরিবারের কেউ অসুস্থ্ হলে কিংবা অন্যত্র বেড়াতে গেলে তার কাজগুলো বাকিরা করে নিতে পারব।

আজকের পাঠের আলোকে নিচের বিষয়ের ওপর একটি অ্যাসাইনমেন্ট করে জমা দেবে।

হাতে হাতে পরিবারের কাজগুলো করি

থাকি সবে মিলেমিশে সুখের ভিত গড়ি

অ্যাসাইনমেন্ট

নিজের কাজ:

পরিবারে প্রত্যেক মানুষের এমন কিছু কাজ থাকে, যা তার একান্ত ব্যক্তিগত। এসব কাজ নিজেকেই করতে হয়। এগুলোই হচ্ছে নিজের কাজ। যেমন: নিজের পোশাক পরিবর্তন, গোসল করা, খাবার গ্রহণ করা, স্কুলে আসা-যাওয়া, পড়াশোনা ইত্যাদি। এসব কাজ নিজেকেই করতে হয়। এমনকি এসব কাজে মা–বাবা কিংবা অন্য কারও সাহায্য নেওয়াও উচিত নয়। সুতরাং প্রতিদিন স্কুলের বই-খাতা, কলম-পেনসিল, জুতা-মোজা, ব্যাগ, জামা নিজেই গুছিয়ে রাখব। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের কাজের চাপ কমবে।

পরিবারের কাজ:

প্রতিটি পরিবারে এমন কিছু কাজ থাকে, যা সবাইকে করতে হয়। সাধারণত মা–বাবা এসব কাজ করে থাকেন। এগুলোকে পরিবারের কাজ বলা হয়। যেমন: বাজার করা, রান্না করা, ঘর গোছানো, হাস-মুরগি ও গবাদিপশুর যত্ন নেওয়া, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, কাপড় ধোয়া, বাগান পরিচর্যা ইত্যাদি। এ কাজগুলো মা–বাবার জন্য রেখে দিলে তাঁদের কাজের চাপ অনেক বেড়ে যাবে। তাই পরিবারের কাজগুলোতে সবার হাত লাগাতে হবে। মা–বাবাকে পরিবারের কাজে নিয়মিত সাহায্য করতে হবে। পরিবারের সব কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

শেষের কথা:

পরিবারে প্রত্যেকে নিজের কাজগুলো নিজে করলে এবং সামষ্টিক কাজগুলো সবাই মিলে করলে সব কাজে সবার দক্ষতা আসবে। মা–বাবার কাজের চাপ কমে যাবে। তাঁরা আমাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় সময় দিতে পারবেন। বেড়াতে নিয়ে যেতে পারবেন। এ ছাড়া পরিবারের কোনো সদস্য অসুস্থ হলে কিংবা কোথাও বেড়াতে গেলে বাকি সবাই মিলে ওই কাজগুলো করে নেওয়া যাবে। এতে পরস্পরের প্রতি স্নেহ ভালবাসা বেড়ে যাবে, পরিবারে সবসময় সুখের আবহ বিরাজ করবে।

মো. শফিকুল ইসলাম ভূঞা, সিনিয়র শিক্ষক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা