এটি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর তোমার পাঠ্যবইয়ের পাঠ থেকেই পাওয়া যাবে। তাই জ্ঞানমূলক প্রশ্নের জন্য মূল বইয়ের পাঠগুলো ভালোভাবে পড়বে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর উদ্দীপকে উল্লেখ থাকবে না। মূল বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস, নাটক ছাড়াও লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক ও নাট্যকারদের জন্ম-মৃত্যু, উল্লেখযোগ্য বই, পত্রিকা—এসব তথ্য ভালোভাবে মনে রাখতে হবে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের শতভাগই মূল পাঠ্যবই থেকে করা হয়।
এক নম্বর পাওয়ার জন্য এর উত্তর প্রয়োজন অনুযায়ী এক শব্দ, অথবা এক বা দুই বাক্যের হলেই চলবে।
মনে রাখতে হবে, যে তথ্যটি চাওয়া হয়েছে, তার বানান যেন ভুল না হয়।
আমরা সবাই জানি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কিভাবে করতে হবে। কিন্তু সব জানার পরও পরীক্ষার সময় কিছু জিনিস মনে থাকেনা। তাই এই চারটি প্রশ্নের উত্তর কিভাবে করতে হবে সেগুলো আরো ভালো করে জেনে নেওয়া জরুরী
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশল এর অর্থ বোঝার ওপর নির্ভর করে। তোমার পাঠ্যবইয়ের গদ্য, কবিতা, উপন্যাস ও নাটকের গুরুত্বপূর্ণ লাইনের তাত্পর্য চাওয়া হতে পারে। তুমি সেসব লাইন ব্যাখ্যা করতে পারলেই হয়ে যাবে।
একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি অনুধাবনের জন্য। দুই প্যারাতে উত্তর সাজালে ভালো হবে। অযথা এ অংশে কবি-সাহিত্যিকদের নামের বিশেষণ লেখার প্রয়োজন নেই।
প্রয়োগমূলক প্রশ্নের ধরন ও কৌশল উপস্থাপনের জন্য উদ্দীপকটি ভালো করে পড়ে নেবে। এখানে তোমার নিজস্ব মতামত প্রয়োগ করার সুযোগ আছে।
প্রয়োগমূলক প্রশ্নে মিল-অমিল, সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য, ব্যাখ্যা করো কিংবা তুলনামূলক আলোচনা করো—এ শ্রেণির প্রশ্ন করা হয়।
প্রশ্নের উত্তরে মূল বক্তব্য ঠিক রাখবে। উদ্দীপকসংশ্লিষ্ট মূল পাঠ্যবইয়ের বিষয়টি ভালোভাবে জানা থাকলে এ প্রশ্নের উত্তর করা সহজ হবে। উদ্দীপকে পাঠ্যবইয়ের গদ্য, কবিতা, উপন্যাস ও নাটকের যে দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, সেটিকে অনুধাবন করে যথার্থ প্রয়োগ ঘটাতে পারলে এ অংশে ভালো করা যাবে।
চিন্তন দক্ষতার চতুর্থ বা শেষ স্তর হলো—উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন। এ অংশে তোমার পঠিত জ্ঞান ও অনুধাবনকে নতুন কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত প্রদানের বিষয়টি যাচাই করা হয়।
এ ধরনের প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয় বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো, যাচাই করো, মূল্যায়ন করো, বিচার করো, যথার্থতা নিরূপণ করো, সপক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও কিংবা আলোচনা করো।
প্রশ্নে একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকে। সে অনুসিদ্ধান্তকেই সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে। যদি সেটা সঠিক না হয় তাহলে বিপক্ষে যাবে তোমার যুক্তি। আবার কোনো কোনো সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হয়। সে ক্ষেত্রে মূল পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে পূর্ণভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। আর উচ্চতর অংশে বিচার-বিশ্লেষণ-মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়াই হলো উচ্চতর দক্ষতা।
মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম