গণমাধ্যমের বৈশিষ্ট্য, তথ্য যাচাই ও সংগ্রহ
আমরা জেনেছি গণমাধ্যম প্রধানত তিন ধরনের। আমরা খেলার ছলে এগুলোর বৈশিষ্ট্য জানতে পারি। এখানে শিক্ষক এক বাক্যে গণমাধ্যমের একটি করে বৈশিষ্ট্য বলবেন আর একটি বল শিক্ষার্থীদের যেকোনো একজনের দিকে ছুড়ে মারবেন, যার দিকে বলটি মারা হলো, সে বলটি নিয়েই শিক্ষক কোন মাধ্যমটির বৈশিষ্ট্য বলছেন, তার নাম বলবে। আর শিক্ষার্থীরা সবাই দাঁড়িয়ে খেলাটি খেলবে। উত্তর সঠিক হলে বসে পড়বে, ভুল হলে দাঁড়িয়ে থাকবে। বলটি আবার শিক্ষকের কাছে ফেরত দেবে।
প্রথম প্রশ্ন হতে পারে এ রকম—ইন্টারনেটের ইউটিউবে হুবহু একটি টিভির লোগোসংবলিত নামের সঙ্গে প্রায় মিল রয়েছে, যেখানে একটি তথ্য ভুল প্রচার করা হয়েছে, এখন ওই নিউজ সঠিক কি না, তা কীভাবে যাচাই করবে?
উত্তর যাচাইয়ের জন্য আমাদের সমস্যাটি খুঁজতে কী কী মূল শব্দ দিয়ে খুঁজতে হবে (সার্চ দিতে হবে)। এটি হবে—ইন্টারনেট বা নিউ মিডিয়া।
দ্বিতীয় প্রশ্ন হতে পারে এ রকম—একজন শিক্ষার্থী তার প্রতিষ্ঠানের ২০১৪ সালের ম্যাগাজিন পড়ে জানতে পেরেছে বাংলাদেশে বিভাগ সাতটি। এখন সব শিক্ষার্থী বলল, এটি ভুল। কারণ, ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ জড় উত্স থেকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ রাখব, তথ্যটি কত তারিখে প্রচার হয়েছে। কারণ, সময়ের ব্যবধানে আজকের আপাতদৃষ্টিতে কোনো সত্য তথ্য আগামীকাল অসত্য প্রমাণ হয়ে যেতে পারে। এটি হবে—মুদ্রণ মাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব সাম্প্রতিক তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করব। কোনো নিউজের হেডলাইন দেখেই আমরা সঠিক মনে করব না, পুরো খবর পড়ব। কোনো মাধ্যমে একটি সংবাদ দেখার পর সন্দেহ হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখব ও যাচাই করব। আমরা যদি পাঠ্যবইয়ের নতুন মুদ্রণের অনলাইন পাঠ্যবইয়ের অনলাইন কপি পেতে চাই, তাহলে অবশ্যই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ–এর ওয়েবসাইট www.nctb.gov.bd লিংক থেকে দেখে নেব।
অন্যান্য উত্স থেকে তথ্য সংগ্রহের ধারণা পাওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবেন যে জরিপের মাধ্যমে শুধু আমরা মানুষের মতামত পাব। কিন্তু যদি অন্যান্য উত্স থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, তাহলে সমস্যাটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা হবে। জড় মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহের আগে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পত্রিকা, বই, ইন্টারনেট পেতে সহায়তা করবে।
বাড়ির কাজ হিসেবে শিক্ষার্থীদের এমন কাজ দিবেন যেন তারা তা পত্রিকা,
বই এবং ইন্টারনেট থেকে তাদের নির্ধারিত সমস্যার বিষয়ে তথ্য খুঁজে বের করে নিয়ে আসে।
প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা