সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা
‘মাঝি’ কবিতাটির সঙ্গে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা লেখো।
নির্দেশনা: সাহিত্য জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়। কবিতা তার ব্যতিক্রম নয়। পরিশীলিত রুচিবোধ সৃষ্টি ও তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার ক্ষেত্রে কবিতার অবদান অনস্বীকার্য। জীবনের অনেক প্রশ্নের উত্তর কবিতা থেকে পাওয়া যায়। জীবনকে নানাভাবে কবিতার সঙ্গে সম্পর্কিত করা যায়। ‘মাঝি’ কবিতাটি তেমন একটি কবিতা।
কবির মতো তুমিও কি কখনো চারপাশের পরিবেশ ও জীবনযাত্রা কখনো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছ? তোমার পর্যবেক্ষণে কী কী দেখেছ? না দেখে থাকলে দেখার চেষ্টা করে সে অভিজ্ঞতার কথা লেখো।
তোমার চারপাশ বিবেচনায় নিয়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর তৈরি করো:
১. প্রশ্ন: ‘মাঝি’ কবিতার কবির মতো তোমার কি কোথাও যেতে ইচ্ছা করে? এমন হলে, কোথায় এবং কেন?
২. প্রশ্ন: বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও? কেন?
৩. প্রশ্ন: নদী-নালা, সবুজ গাছপালা, চাষাবাসের স্থান ইত্যাদি আছে, এমন প্রাকৃতিক স্থানে অবস্থান করার ব্যাপারে তোমার কি কোনো অভিজ্ঞতা আছে? থাকলে এমন পরিবেশে তোমার কেমন লাগে? না থাকলে এমন পরিবেশে গেলে তোমার কেমন লাগবে বলে মনে করো?
৪. প্রশ্ন: তুমি কি বড় হয়ে বিদেশে কাজ করতে চাও? কেন বা কেন নয়?
৫. প্রশ্ন: বিদেশে কাজ করার ব্যাপারে তোমার মতামত কী?
প্রশ্নগুলো থেকে পাওয়া উত্তরের সাহায্যে আমাদের চিন্তাধারাকে সহজে ‘মাঝি’ কবিতার সঙ্গে সম্পর্কিত করা যায়।
‘মাঝি’ কবিতায় কী ধরনের আবেগ প্রকাশ পাচ্ছে?
কবিতায় বিভিন্ন ধরনের আবেগ প্রকাশ পায়। আবেগ হলো আমাদের এমন সব মানসিক অবস্থা, যেগুলো চোখে দেখা যায় না। যেমন আনন্দ, খুশি, রাগ, বিরক্তি, দুঃখ, বেদনা, প্রেম, অবাক, বিস্ময়, দুশ্চিন্তা, হতাশা ইত্যাদি। আর ভিন্ন ভিন্ন আবেগ যেসব উপায়ে আমরা প্রকাশ করি, অর্থাৎ চোখে দেখা যায়, সেগুলো হলো আমাদের আচরণ। যেমন হাসি, কান্না, চোখ বড় করা, লাফালাফি করা, দৌড়াদৌড়ি করা, মুখ গোমড়া করা, চিৎকার করা ইত্যাদি। ‘মাঝি’ কবিতা পড়ে বা এর ভিন্ন ভিন্ন লাইনে কোন ধরনের আবেগ প্রকাশ পেয়েছে বলে তুমি মনে করো?
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা