৫. প্রশ্ন: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাড়তি জনসংখ্যার জন্য বাসস্থান, রাস্তাঘাট,খাদ্যসহ সবকিছুই বেশি দরকার হয়। এর ফলে গাছপালা ও বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অধিক মাত্রায় খাদ্যশস্য ও ফসল ফলানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে এবং জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে। যানবাহনের বিষাক্ত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডল দূষিত করছে, জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটছে। এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
৬. প্রশ্ন: শব্দ দূষণ রোধে তুমি কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পার সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর: শব্দ দুষণ রোধে আমি নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারি—
ক. বিনা কারণে শোরগোল করব না।
খ. প্রয়োজন না হলে মাইক ব্যবহার করব না।
গ. উচ্চ স্বরে কথা বলব না বা চিত্কার করব না।
ঘ. বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজাব না।
ঙ. জেনারেটরের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখব।
চ. অন্যরা যাতে এসব নিয়মকানুন মেনে চলে, তার জন্য সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করব।
৭. প্রশ্ন: পরিবেশে পানি দূষণের প্রভাবে কী কী ঘটতে পারে লেখো।
উত্তর: পানি দূষণের প্রভাবে পরিবেশে যা ঘটতে পারে—
ক. পানি দূষণের ফলে পানিবাহিত রোগ যেমন জন্ডিস, ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি হতে পারে।
খ. মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
গ. চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
ঘ. জলজ প্রাণী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
ঙ. পরিবেশে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
পারভীন আক্তার, সহকারী শিক্ষক, লালমাটিয়া মডেল স্কুল, ঢাকা