৩. প্রশ্ন: উয়ারী-বটেশ্বর এলাকাটি বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অবস্থিত? এই এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চলে পরিণত হওয়ার পেছনে কী কারণ, তা লেখো।
উত্তর: উয়ারী-বটেশ্বর এলাকাটি বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বেলাব ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত।
ভূমিকম্প, বন্যা, প্লাবন প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে নদীর পাড়ের জমি, ঘরবাড়ি, গ্রাম আর রাস্তাঘাট প্রতিনিয়ত ভাঙছে। আবার অন্যদিকে বিস্তীর্ণ চর পড়ছে। শত শত বছর আগে থেকেই এভাবে চলে আসা ভাঙা-গড়ায় মাটিচাপা পড়ে যায় জনপদ। উয়ারী-বটেশ্বর তেমনিভাবে মাটির নিচে পড়ে থাকা একটি জনপদ, যেখানে পাওয়া গেছে বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই এ এলাকা প্রত্নতাত্ত্বিক একটি অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
৪. প্রশ্ন: কোন কোন নিদর্শন থেকে উয়ারী-বটেশ্বরের সময়কাল জানা যায়?
উত্তর: যেসব নিদর্শন থেকে উয়ারী-বটেশ্বরের সময়কাল জানা যায় তা হলো—
ক. ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকেরা মাটি খনন করার সময় একটা পাত্রে কিছু মুদ্রা পান। স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ বঙ্গদেশের এবং ভারতের প্রাচীনতম রৌপ্যমুদ্রা চিহ্নিত করেন।
খ. ১৯৫৬ সালে উয়ারী গ্রামের মাটি খনন করার সময় ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার ভান্ডার পাওয়া যায়, যা অনেক কাল আগের বলে ধারণা করা হয়।
গ. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উয়ারী-বটেশ্বরে মাটি খননের সময় আড়াই হাজার বছর আগের প্রাচীন দুর্গ শহরের পোড়ামাটির ফলক, মূল্যবান পাথর, কাচের পুঁতি ও মুদ্রাভান্ডার পান।
ঘ. ২০০০ সালে প্রাপ্ত কিছু নিদর্শন গবেষণা করে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা নিশ্চিত হন যে উয়ারী–বটেশ্বরের সময়কাল আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৪৬৩ বছর আগের।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা