এসএসসি পরীক্ষা ২০২৩ - বিশেষ পরামর্শ
রসায়নের পরীক্ষাটা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে। অধ্যায় হলো—১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ১১। এসব অধ্যায়ে থাকবে পদার্থের গঠন, পর্যায় সারণি, রাসায়নিক বন্ধন ও খনিজ সম্পদ: জীবাশ্ম। সৃজনশীল অংশে ৮টি প্রশ্ন থাকবে। ৫টির উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে ২৫টি। যেকোনো ২৫টির উত্তর দিতে হবে।
পদার্থের গঠন অধ্যায়ে ইলেকট্রন, প্রোটন, শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস ভালো করে দেখে নেবে। পর্যায় সারণি অধ্যায়ের শ্রেণি নির্ণয়, পর্যায় নির্ণয় ভালো করে পড়বে। রাসায়নিক বন্ধন অধ্যায়ে রাসায়নিক সংকেত সঠিক হতে হবে। আণবিক ও গাঠনিক সংকেত ঠিক বুঝে নেবে। খনিজ সম্পদ অধ্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাস, পলিমার, হাইড্রোকার্বন, অ্যালডিহাইড ও অ্যালকোহলের ধর্ম ভালো করে পড়বে। একাদশ অধ্যায়ে সমীকরণ, কার্যকরীমূলক, পলিমারের ব্যবহার বেশি থাকে, তা মনোযোগসহ পড়বে। ষষ্ঠ অধ্যায়ে অংক বেশি থাকে, তা ভালো করে অনুশীলন করবে। লিমিটিং বিক্রিয়া, মোলার ঘনমাত্রা, অণুর সংখ্যা ইত্যাদি বের করতে গেলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সমতা যথাযথভাবে করতে হবে।
চতুর্থ অধ্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা, ইলেক্ট্রন বিন্যাস সঠিকভাবে জানা না থাকলে পর্যায় সারণিতে মৌলের অবস্থান নির্ণয় করা যাবে না। তাই এ দুটো বিষয়কে আয়ত্ত্বে আনতে হবে।
পঞ্চম অধ্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সংকেত যেমন— আণবিক ও গাঠনিক সংকেত লেখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা যৌগ মূলকের যোজনি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রসায়নে গাণিতিক সমস্যার সমাধান ঠিকমতো করবে। একক ঠিকমতো লিখবে। ভুল করলে নম্বর কিন্তু কাটা যাবে। বহুনির্বাচনিতে বেশি মনোযোগ দেবে।
তাপসী বণিক, সহযোগী অধ্যাপক, কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ঢাকা