[পূর্ববর্তী লেখার পর]
৯. প্রশ্ন: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে?
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই এখানে অনেক রকমের কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়। যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়, সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলে।
বাংলাদেশ যেসব কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তা হলো:
চা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের চায়ের বিশেষ সুনাম রয়েছে। চা রপ্তানি অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করে।
পাট: পাট আমাদের অর্থকরী ফসল। পাট ও পাটের তৈরি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়।
তামাক: বাংলাদেশে উত্পন্ন তামাক বেশির ভাগই বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
আলু: দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত আলু দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়।
বাংলাদেশের অন্যান্য অর্থকরী ফসলের মধ্যে তুলা, রেশম, সুপারি ও রাবার উল্লেখযোগ্য।
১০. প্রশ্ন: বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহত্ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নিচে এদের পার্থক্য দেওয়া হলো:
বৃহৎ শিল্প:
১. বাংলাদেশের কিছু কিছু কারখানায় বিপুল পরিমাণে পণ্য উত্পাদিত হয়। এদের বৃহৎ শিল্প বলে।
২. বৃহৎ শিল্পের মধ্যে রয়েছে সার, সিমেন্ট, ওষুধ, কাগজ, চিনিশিল্প ইত্যাদি।
৩. বৃহৎ শিল্পগুলো আধুনিক কালের শিল্প। যার প্রসার আধুনিক যন্ত্রপাতির উন্নতির সঙ্গে ঘটেছে।
৪. বৃহৎ শিল্পে অধিক শ্রমিক কাজ করতে পারেন বলে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
৫. দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব শিল্পে উত্পাদিত সামগ্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
ক্ষুদ্র শিল্প:
১. আবার কিছু কিছু কারখানায় ক্ষুদ্র পরিমাণে স্থানীয়ভাবে পণ্য উত্পাদিত হয়। এদের ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
২. ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে রয়েছে কাঠশিল্প, কাঁসাশিল্প, মৃৎশিল্প, রেশমশিল্প, তাঁতশিল্প, তামাকশিল্প, চামড়াশিল্প প্রভৃতি।
৩. কিছু কিছু ক্ষুদ্র শিল্প আমাদের প্রাচীন শিল্প। যেমন তাঁতশিল্প বহুকালের, বাংলার মানুষ এ শিল্পের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে।
৪. ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষুদ্র পরিসরে অল্প মূলধনে পরিচালিত হয় বলে এখানে কমসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
৫. ক্ষুদ্র শিল্পে উত্পাদিত পণ্য দেশের চাহিদার অনেকাংশ মেটাতে সক্ষম হয়।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা
[পরবর্তী দিনের লেখা]