সংক্ষেপে জেনে রাখি - আয়নোস্ফিয়ার, অভাব নির্বাচন, দ্বিতীয় নগর সভ্যতা, টেকসই উন্নয়নে নারী

আয়নোস্ফিয়ার

মেসোপজের পর থেকে প্রায় ৫০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অবস্থিত হালকা বায়ুস্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলা হয়। এই স্তরের নিম্নভাগে তড়িৎযুক্ত কণার উপস্থিতি দেখা যায়। তাই থার্মোস্ফিয়ারের নিম্নভাগকে আয়নোস্ফিয়ার বলা হয়। দুই বিজ্ঞানী কেনেলি ও হেভিসাইড প্রথম আয়নোস্ফিয়ারের উপস্থিতি প্রমাণ করেন।

অভাব নির্বাচন

সীমিত সম্পদ দ্বারা অসীম অভাবের মধ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ অভাব প্রথমে পূরণ করা হবে, তা নির্ধারণ করাই হলো অভাব নির্বাচন। সীমিত সম্পদের বিকল্প ব্যবহার যোগ্যতার কারণে ‘নির্বাচন’ করা হলে এর মাধ্যমে উপযোগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব।

দ্বিতীয় নগর সভ্যতা

সিন্ধু সভ্যতার পর ভারত উপমহাদেশে যে নগরসভ্যতা গড়ে ওঠে, সেটিই দ্বিতীয় নগরসভ্যতা হিসেবে পরিচিত। খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০ অব্দে গঙ্গা নদীর উপত্যকায় দ্বিতীয় নগরসভ্যতা বিকাশ লাভ করে। ভারত উপমহাদেশের প্রায় ৪১টি প্রত্নস্থানে দ্বিতীয় নগরসভ্যতার চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশের উয়ারী-বটেশ্বর এবং পুন্ড্রনগর (মহাস্থানগড়) দ্বিতীয় নগরসভ্যতার নিদর্শন। উপরের ছবিটি উয়ারী-বটেশ্বরের।

টেকসই উন্নয়নে নারী

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হলো নারী। সমাজের এই অর্ধেক অংশকে পেছনে ফেলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূলে রয়েছে মানুষ। এই মানুষের মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয়ই রয়েছেন। তাই নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণ না থাকলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই টেকসই উন্নয়নে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।