প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা তোমাদের বই থেকে ‘আমার দেখা নয়াচীন’ রচনাটি প্রথমে নীরবে এবং পরে সরবে পাঠ করো। পড়ার সময় প্রমিত উচ্চারণের বিষয়টি খেয়াল রাখবে। কোনো শব্দের অর্থ বুঝতে সমস্যা হলে সেগুলো চিহ্নিত করে রাখবে। লেখায় যেসব নতুন শব্দ খুঁজে পাবে, সেগুলো পাঠ্যবইয়ের ‘শব্দের অর্থ’ অংশ থেকে পড়ে নেবে। এছাড়া আরও কোনো শব্দের অর্থ জানতে চাইলে তোমরা শিক্ষক ও অভিধানের সাহায্য নিবে।
পড়ে যা বুঝলাম, তা নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর:
১. প্রশ্ন: লেখক এখানে কিসের বিবরণ দিয়েছেন?
নমুনা উত্তর: লেখক এখানে ভ্রমণের বিবরণ দিয়েছেন।
২. প্রশ্ন: বিবরণটি কোন সময়ের ও কোন দেশের?
নমুনা উত্তর: ১৯৫২ সালের এবং চীন দেশের।
৩. প্রশ্ন: এই বিবরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কী কী মিল-অমিল আছে?
নমুনা উত্তর: বাংলাদেশের মতোই চীন দেশের নদীতে নৌকা, লঞ্চ চলাচল করে। নৌকা বাদাম দিয়ে চলে। অমিল হচ্ছে চীনারা দেশি জিনিস বাজারে থাকলে বিদেশি জিনিস কেনে না।
৪. প্রশ্ন: লেখাটিতে লেখক চীনে কী কী দেখার কথা উল্লেখ করেছেন?
নমুনা উত্তর: মিউজিয়াম দেখা, লাইব্রেরি দেখা, এক্সিবিশন দেখা ও স্থানীয় বাজার দেখার কথা উল্লেখ করেছেন।
৫. প্রশ্ন: লেখাটিতে চীনের মানুষের দেশপ্রেমের কোন নমুনা পাওয়া যায়?
নমুনা উত্তর: চীনাদের দেশপ্রেম লক্ষণীয়। চীনারা দেশি জিনিস বাজারে থাকলে বিদেশি জিনিস কেনে না। এটা তাদের দেশপ্রেমের নমুনা।
৬. প্রশ্ন: এই লেখা থেকে নতুন কী কী জানতে পারলে?
নমুনা উত্তর: আমি এই লেখা থেকে চীন বিষয়ে নতুন অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যেমন চীনের লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, মিউজিয়াম, বাজারব্যবস্থা ইত্যাদি। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে চীনাদের দেশপ্রেম।
৭. প্রশ্ন: আমার দেখা নয়াচীন রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
নমুনা উত্তর: ১৯৫২ সালের অক্টোবর মাসে চীনের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীন সফরে গিয়েছিলেন। আমার দেখা নয়াচীন বঙ্গবন্ধুর চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা একটি অনবদ্য রচনা। বর্তমানে চীন বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ। একজন বিশ্বনেতার চোখে চীনের উত্থান পর্বের এই তুখোড় পর্যবেক্ষণমূলক বিবরণ শুধু আমাদের দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
এই ভ্রমণে বঙ্গবন্ধু চীনের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। প্রথমে তাঁরা গিয়েছিলেন মিউজিয়ামে। মিউজিয়ামে অনেক নিদর্শন বস্তু ও পুরোনো দিনের স্মৃতি দেখা গেল। তারপর তাঁরা সাংহাই শহরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পাবলিক লাইব্রেরি দেখতে গিয়েছিলেন। বড়দের পাশাপাশি ছোট ছেলেমেয়েদের পড়ার জন্যও সেখানে চমৎকার ব্যবস্থা ছিল। লাইব্রেরির সঙ্গে ছোট একটা মাঠ আছে, যেখানে বসে পড়াশোনা করার মতো ব্যবস্থা রয়েছে।
পরে তাঁরা এক্সিবিশন দেখতে গেলেন। নতুন চীন সরকার কী কী জিনিস তৈরি করেছে, তা সেখানে দেখানো হলো। সাংহাই শহরের পাশে যে নদী বয়ে গেছে, তা দেখে তাঁরা চমৎকৃত হলেন। বাংলাদেশের মতোই চীন দেশের নদীতে নৌকা, লঞ্চ চলাচল করে। নৌকা বাদাম দিয়ে চলে। সবচেয়ে মনে রাখার বিষয় দেখলেন সেখানকার বাজারে গিয়ে। চীনারা দেশি জিনিস বাজারে থাকলে বিদেশি জিনিস কেনে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। তাই চীনাদের এমন দেশপ্রেম তাঁর মনে ভীষণ দাগ কেটেছিল।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা