যে কৃষিব্যবস্থায় একই জমিতে বিভিন্ন বছরে বা বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন করা হয়, তাকে শস্যাবর্তন বলা হয়। যেমন ধানের পরে ডাল বা শুঁটিজাতীয় ফসল ফলালে ধান চাষের ফলে জমির যে নাইট্রোজেন ঘাটতি হয়, তা পূরণ হয়ে যায়। ফলে এই পদ্ধতিতে জমিতে বেশি ফসল উৎপাদিত হয়।
বৃষ্টিপাতের জল, বরফগলা জল বা অন্য যেসব জলরাশি ভূপৃষ্ঠের ওপর ছড়িয়ে পড়ে এবং বাষ্পীভবনের পর ওই জলরাশির অবশিষ্টাংশ খাতের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে নিষ্কাশিত হয়, এই জলপ্রবাহকে জলনিকাশ বলে। অনুমান করা হয়, সমগ্র পৃথিবীর জলনিকাশ এলাকা প্রায় ৪১,৫০০ বর্গকিলোমিটার।
নদী উপত্যকার দুই তীর ধাপে ধাপে নেমে এসে নদীর দুই পাশে মঞ্চের মতো অবস্থান করলে, তাকে নদীমঞ্চ বা নদীসোপান বলে। গঙ্গা, তিস্তা, ব্রক্ষ্মপুত্র প্রভৃতি নদ-নদীতে এরূপ নদীমঞ্চ দেখা যায়।
মরু অঞ্চলে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হলে উন্মুক্ত শিলাখণ্ডেরও বিভিন্ন দিক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মসৃণ ও চকচকে হয়। এ রকম বহু মসৃণ তলবিশিষ্ট ভূমিরূপকে ড্রেইকান্টার বলে। সাহারা মরুভূমিতে অনেক ড্রেইকান্টার দেখা যায়।