‘চিঠি বিলি’ ছড়াটি তোমরা আগে পাঠ্যবই থেকে নিরবে পড়বে এবং সরবে পাঠ করবে।
‘চিঠি বিলি’ ছড়াটি লেখেন রোকনুজ্জামান খান। তিনি সবার কাছে ‘দাদাভাই’ নামে সুপরিচিত ছিলেন। ছড়াটি তাঁর ‘হাট টিমা টিম’ নামের বই থেকে নেওয়া। রোকনুজ্জামান খান ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
‘চিঠি বিলি’ ছড়ার মূলভাব:
বর্ষা বাংলাদেশের পরিচিত একটি ঋতু। এই ঋতুর কোনো এক বৃষ্টির দিনের মজার কল্পনাচিত্র আঁকা হয়েছে এই ছড়ায়। ছড়ার চরিত্রের সবাই জলের দেশের অধিবাসী। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় একটি ব্যাঙ চিঠি বিলি করতে যাচ্ছে। সে চিঠি বিলি করবে খেয়ানৌকায়। এই খেয়ানৌকাটির মাঝি হলো এক চিংড়ির বাচ্চা। ছোট হলেও সে খুব শক্তিশালী মাঝি। বিলের খলসে মাছ এই চিংড়ির নামেও একটি চিঠি পাঠিয়েছে। খলসে লিখেছে সন্ধ্যার রোদের দিকে তাকানোর কারণে তার চোখ ঝলসে গেছে। নদীর ওপারে গিয়ে ডাকপিয়ন ব্যাঙ খুব হতাশ হয়। কারণ, ভেটকি মাছের নাতনির কাছে কাতলা মাছ একটি চিঠি লিখেছে। কিন্তু তা বিলি করা যাচ্ছে না। ভেটকি মাছের নাতনি তখন দেশের বাইরে গেছে। কাতলা লিখেছে সারা দেশে এবার প্রচুর বৃষ্টি হবে। ব্যাঙ তাই এবার শুধু চিংড়ির খেয়ানৌকার ওপর ভরসা না করে ছাতা কিনে নিয়েছে।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা