তথ্য সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চিহ্নিত করা
আমরা মানবীয় ও জড়—এই দুই উত্স থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছি। কিন্তু তথ্যগুলো আসলে বিচ্ছিন্ন কিছু সংখ্যা ও বর্ণনা। আমরা তথ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করে এর থেকে মূল তথ্যটি খুঁজে বের করব।
৫০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশ্নোত্তর পর্বে রাখা হয়েছে। আর যে প্রশ্নটি করা হয়েছে তা হচ্ছে– ‘শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য কোনো বই পড়ে কি না?’
এ প্রশ্নের দুটি বিকল্প উত্তর হচ্ছে– ক. হ্যাঁ এবং খ. না
— ‘হ্যাঁ’ উত্তর দিয়েছে = ৩৫ জন
— ‘না’ উত্তর দিয়েছে = ১৫ জন
— মোট উত্তরদাতা = ৫০ জন
‘হ্যাঁ’ উত্তরকে শতাংশে রূপান্তর করা হবে।
‘না’ উত্তরকে শতাংশে রূপান্তর করা হবে।
আমরা জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করার জন্য কম্পিউটারে সফটওয়্যার হিসেবে স্প্রেডশিট (Ms–Excel) ব্যবহার করব।
স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম চালু করার পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘরসংবলিত টেবিল আসবে তাকে ওয়ার্কশিট বলে। ওয়ার্কশিটের বাঁ থেকে ডান দিকে চলে যাওয়া ঘরগুলোকে সারি বা রো বলে। অন্যদিকে ওপর থেকে নিচের দিকে সারিবদ্ধ ঘরগুলোকে স্তম্ভ বা কলাম বলে। আর কলাম ও সারি–এর মাধ্যমে যে ছোট ছোট ঘরগুলো তৈরি হয়েছে, এগুলোকে সেল বলে।
5 নং সারি ও E নং কলামকে তার অ্যাড্রেস বা E5 বলে।
বিদ্যালয়ে বা হাতের কাছে কম্পিউটার থাকলে আমরা বিভিন্ন ফর্মুলা বসিয়ে অনুশীলন করতে পারি। এতে বড় বড় হিসাব–নিকাশের কাজ আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।
প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা