ষষ্ঠ শ্রেণির পড়াশোনা
অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ
যেকোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মধ্যে অনুভূতি তৈরি হয়। এসব ঘটনা হতে পারে কারও সঙ্গে কথা বলা, কোনো কার্যক্রম দেখা, গল্প-কবিতা পড়া, নাটক-সিনেমা দেখা ইত্যাদি। নিজের ও অন্যের অনুভূতি বোঝাটা সব সময় সহজ নয়। বিশেষ করে, অন্য ব্যক্তি কেমন অনুভূতি বোধ করছে, তা সে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না করলে জানাটা মুশকিল।
আমরা যা করি, তা হলো, তার আচরণ দেখি ও তার অনুভূতি অনুমান করার চেষ্টা করি। অন্যরাও আমাদের আচরণ দেখেই আমাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করে। অনুভূতির কথা সুস্পষ্টভাবে মুখে না বললে বা না লিখলে, আমাদের আচরণ ও অ–ভাষিক যোগাযোগ দেখে অনুভূতিটি অনুমান করা যেতে পারে। অর্থাৎ নিজের বা অন্যের অনুভূতি কখনোই চোখে দেখা যায় না, তবে আচরণ দেখে আমরা অনুভূতি অনুমান করতে পারি। যেমন কেউ যদি কান্না করে, তাহলে আমরা অনুমান করতে পারি ‘কান্না’ আচরণটি করছে কারণ, তার এখন অনুভূতি হলো ‘কষ্ট’। তবে একই অনুভূতি একেকজন একেকভাবে প্রকাশ করতে পারে।
তাই, কেউ খুশিতেও কাঁদতে পারে। এ জন্য কোনো ঘটনা যদি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা যায়, তখন ওই ঘটনার কারণে যে ধরনের অনুভূতি হতে পারে, তা অনুমান করা সহজ হয়।
অনুভূতি ও আচরণের মধ্যে পার্থক্য:
অনুভূতি (দেখা যায় না): আনন্দ, খুশি, রাগ, বিরক্তি, দুঃখ, বেদনা, প্রেম, অবাক, বিস্ময়, দুশ্চিন্তা, হতাশা ইত্যাদি।
আচরণ (দেখা যায়): হাসি, কান্না, চোখ বড় করা, লাফালাফি, দৌড়াদৌড়ি, মুখ গোমড়া করা, চিৎকার করা ইত্যাদি।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা