সেশন ৬: তথ্যের সংরক্ষণ
‘তথ্য সংরক্ষণ’ মানে হচ্ছে ‘তথ্য রক্ষা করা’ বা ‘জমিয়ে রাখা’। অনেক অনেক বছর আগে আদিম পর্যায়ে মানুষ তথ্য পাথরে খোদাই করে, গুহায় বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষায় লিখে রাখত কিংবা গাছের গুঁড়িতে লিখে রাখত। আমরা বর্তমানে তথ্য খাতায় লিখে, ছবি তুলে, ভিডিও রেকর্ড করে সংরক্ষণ করে রাখি।
তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য বর্তমানে আমরা কয়েক ধরনের ডিভাইস যেমন পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, মেমোরি কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি।
তা ছাড়া কাগজ বা প্লাস্টিকের ফাইল তৈরি করে আলমারিতে রাখি। কম্পিউটারে টাইপ করে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে রাখি। আলমারিতে তথ্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কাগজ পোকা কাটতে পারে, কম্পিউটারের হার্ডডিস্কও নষ্ট হয়ে যেতে পারে, মোবাইল মেমোরি কার্ড যেখানে তথ্য জমা থাকে, সেটিও নষ্ট বা হারিয়ে বা চুরি হয়ে যেতে পারে।
১. বর্তমানে জিমেইলে অ্যাকাউন্ট খুললে একটি অ্যাকাউন্টের অধীনে ১৫ জিবি পর্যন্ত ফ্রি স্টোরেজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ নিজের ই-মেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা থাকলে অন্য কেউ সেই ই-মেইল খুলতে পারবে না। এমনকি কোনো ধরনের তথ্য দেখতেও পারবে না।
২। তা ছাড়া গুগল ড্রাইভে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখলে যেকোনো স্থান থেকে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ থেকেই তথ্য দেখা যাবে। এতে তথ্য অনেক বেশি নিরাপদভাবে সংরক্ষণ করা যায়, এটিকে ক্লাউড বলে।
৩। বিশ্বের অনেক বড় বড় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের আছে অনেক বড় বড় ডেটা সেন্টার বা তথ্যকেন্দ্র। সেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের সব তথ্য জমা হতে থাকে। আমরা যখন নিজেদের অনলাইন আইডি খুলব, তখন আমাদের তথ্যও সেখানে জমা হয়ে যাবে।
৪. এমনকি মোবাইল ফোনে যেকোনো ছবি স্ক্যান করলে, ছবি তুললে বা ভিডিও করলে সেসব তথ্যও ফটোস–এ জমা হয়ে যাবে, যদি নাকি মোবাইল ফোনটি গুগলের জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সেটিং করা থাকে।
৫. তা ছাড়া ফোনে কোনো ফোন নম্বর লিখে সংরক্ষণ করলে তা জিমেইলে সিলেক্ট করে দিলে সেখানে সংরক্ষণ হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে ওই মোবাইল ফোন সেটটি চুরি বা নষ্ট হয়ে গেলেও তথ্য পেতে কোনো সমস্যা হবে না। পরবর্তী সময়ে নতুন সেটে জিমেইল সেটিং করলেই সব তথ্য ফিরে আসবে।
প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা