জেনে নাও গল্পের ১২টি শ্রেণি:
জীবনের বিচিত্র বিষয় ও অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্প লেখা যায়। ফলে গল্প অনেক ধরনের হতে পারে যেমন
১. রোমান্টিক গল্প: এ ধরনের গল্পে মানব-মানবীর বিচিত্র প্রেম ও অনুভূতির রূপায়ণ ঘটে। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একরাত্রি’।
২. সামাজিক গল্প: এ ধরনের গল্পে সমাজের বিশেষ কোনো ছবি উপস্থাপিত হয় যেমন শরত্চন্দ্রের ‘মহেশ’।
৩. প্রকৃতি ও মানুষ–সম্পর্কিত গল্প: এই ধরনের গল্পে প্রকৃতি ও মানব চরিত্রের বিভিন্ন দিক স্থান পায়। যেমন রবীন্দ্রনাথের ‘অতিথি’।
৪. রূপক বা সাংকেতিক গল্প: রূপক বা সাংকেতিক গল্পে রূপকের অন্তরালে কোনো সর্বজনীন সত্যের উদ্ভব হয় যেমন রবীন্দ্রনাথের ‘তাসের দেশ’।
৫. অতিপ্রাকৃত গল্প: এ ধরনের গল্পে অতিপ্রাকৃত বিষয়ের কল্পনা স্থান পায় যেমন নজরুলের ‘পদ্মগোখরা’।
৬. রম্য গল্প: এ ধরনের গল্পে সামাজিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক সমস্যা বা রুগ্ণ মানসিকতাকে উপস্থাপন করা হয় যেমন আহসান হাবীবের ‘সন্দেহ’।
৭. হাসির গল্প: এ ধরনের গল্পে জীবনের নানা অসংগতি নিয়ে হাস্যরস সৃষ্টি করা হয় যেমন রাজশেখর বসুর ‘ভূষণ্ডির মাঠ’।
৮. ঐতিহাসিক গল্প: এ ধরনের গল্পে ইতিহাস থেকে উপকরণ নিয়ে লেখা হয় যেমন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃৎ-প্রদীপ’।
৯. মনস্তাত্ত্বিক গল্প: এ ধরনের গল্পে নর–নারীর মনস্তাত্ত্বিক বিষয় স্থান পায় যেমন শরত্চন্দ্রের ‘রামের সুমতি’।
১০. ডিটেকটিভ, গোয়েন্দা বা রহস্য গল্প: এই ধরনের গল্প অপরাধ ও গোয়েন্দা তত্পরতা নিয়ে রচিত হয়। যেমন পরশুরামের ‘নীল তারা’।
১১. বিজ্ঞানভিত্তিক গল্প: বিজ্ঞাননির্ভর কাহিনি নিয়ে এ ধরনের গল্প রচিত হয় যেমন সত্যজিৎ রায়ের ‘মরুরহস্য’।
১২. উদ্ভট গল্প: অবাস্তব ও অসম্ভব ঘটনা নিয়ে এ ধরনের গল্প রচিত হয় যেমন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের ‘নারায়ণী মেলা’।
এসো এবার জেনে নিই প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন: ‘গল্প’ শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
উত্তর: সংস্কৃত ‘জল্প’ শব্দ থেকে।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের নবীনতম সদস্য কোনটি?
উত্তর: ছোটগল্প
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে কবে থেকে ছোটগল্প লেখা শুরু হয়?
উত্তর: উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা